ওয়েব ডেস্ক : দিনের শুরুতেই শিরোনামে মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বোমাবাজির আঘাতে প্রাণ হারান সিপিআইএম কর্মী তহিদুল ইসলাম। ২০১৬ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তহিদুরই ভোটে হিংসার প্রথম বলি। এরপর থেকে সারা দিনই খবরে রইল ডোমকল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডোমকলের শিরোপাড়ায় ১৭৬ নম্বর বুথের সামনে ব্যাপক বোমাবাজিতে মৃত্যু হয় তহিদুল ইসলাম নামে ওই সিপিএম কর্মীর। ভোটের প্রথম ঘণ্টাতেই শিরোপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। বুথ থেকে সামান্য দূরে মাঠের মধ্যে চলে বোমাবাজি। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সিপিএম। অভিযোগ, ডোমকলে সিপিএম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কামরুজ্জমান। আরও অভিযোগ, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে এই অবস্থা চললেও পুলিস বা কেন্দ্রীয় বাহিনী কারোর দেখা পাওয়া যায়নি।


এরপরই এই ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করে কমিশন। কমিশনকে রিপোর্টে পুলিস সুপার জানান, “বোমাবাজি নয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ওই সিপিএম কর্মীর।” যদিও, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, ডোমকলের ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। তবে উদ্বিগ্ন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জাইদি দিনের শেষে ফোন করেন রাজ্যের CEO সুনীল গুপ্তাকে। খোঁজখবর নেন ডোমকলের ঘটনা সম্পর্কে।


বোমাবাজিতে তহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পরই,  ডোমকলের শিরোপাড়ায় ভোট বন্ধের দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নির্বাচনী পর্যবেক্ষক।


এরপর ডোমকলের দক্ষিণপাড়ায় চলে গুলির লড়াই। গুলিবিদ্ধ হন ২ সিপিএম কর্মী রিন্টু মণ্ডল, আখতারউল ও তৃণমূল কর্মী শরিফুল ইসলাম। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে ডোমকলের গরাইমারায় মোমমিনপুর গ্রামে। গ্রামবাসীদের বুথ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। অভিযোগ গড়াইমারিতে নিগৃহীত হন আনিসুর রহমান।