ওয়েব ডেস্ক: কাকভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘে মানুষে টানাটানি। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে নয়। বা ডুয়ার্সে বিস্তীর্ণ অরণ্যে নয়। এ ঘটনা উত্তরদিনাজপুরের সদর শহর রায়গঞ্জের। দিনভর চিতাবাঘের হামলায় জখম হয়েছেন কমপক্ষে কুড়ি জন। অবশেষে সন্ধের দোরগোড়ায় বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করতে সক্ষম হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সকালে সমরেশের কথা কেউ বিশ্বাস করেনি। সবাই হাসাহাসি করেছে সমরেশকে নিয়ে। কেউ আবার জিজ্ঞাসা করেছিল পয়লা জানুয়ারির রাতে আমোদ বেশি করে ফেলেছিল কী না। কিন্তু ঘন্টাখানেক যেতেই হইচই পড়ে যায় গোটা শহর জুড়ে। জনবহুল রায়গঞ্জ শহরে বাঘ! কাছাকাছি কোনও জঙ্গল নেই। কাছের চা বাগানগুলিও পঞ্চাশ ষাট কিলোমিটার দূরে। পাশে বিহারে যে জঙ্গল রয়েছে তাও তিরিশ চল্লিশ কিলোমিটার দূরে। আর সেই  জঙ্গলে চিতাবাঘ থাকার কথা নয়। 



স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় তেমন পাত্তা দেয়নি বনকর্মীরাও। এরই মধ্যে চিতাবাঘের হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন। বনকর্মীদের সাহায্য না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই চিতাবাঘ ধরতে নামেন। কলেজ পাড়ার কাছে একটি রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে বাঘমামা। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সঙ্গে এলাকার কয়েকজন ডাকাবুকো যুবক জাল নিয়ে সেখান পৌছায় চিতাবাঘ ধরতে। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। তবে জঙ্গলে অভ্যস্ত বাঘ মানুষের সঙ্গে পারবে কী করে। সেই কবে আবদূল মাঝি পদ্মাতে নৌকা বইয়েছিল বাঘকে দিয়ে আর এখানে তো রায়গঞ্জের শুকনো শহর। দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত চিতাবাঘ একটি ঘরে  ঢুকে যায়। আর ঠিক তখুনি ঘরের বাইরে থেক শিকল তুলে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। 


 


এর ঘণ্টাখানেক পর সুকনা অভয়ারন্য থেকে ঘটনাস্থলে পৌছায় বনবিভাগের ট্রাঙ্কুলাইজার টিম। কিন্তু চিতাবাঘকে কাবু করতে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের।  বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে তবে ঘরবন্দি চিতাবাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কব্জা করে তারা। ঘুম পাড়িয়ে চিতাবাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মহানন্দা ফরেস্টে। যবনিকা নামে দিনভর টেনশনের।