ওয়েব ডেস্ক: নামেই আরোগ্য নিকেতন। তবে বেশ ক’বছরই সেবা শুশ্রুষার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন। ভাদুড়ার জীবনদীপ নার্সিংহোম হয়ে উঠেছিল শিশু পাচারের গোডাউন। বিক্রি হওয়ার আগে শিশুদের জমা রাখা হত এখানেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জীবনদীপ। তবে নামে কিই বা আসে যায়। ভাদুড়ার জীবনদীপ নার্সিংহোমের ইদানিং কাজ কারবারে জীবনে আলো জ্বালানোর কোনও প্রচেষ্টা আদৌ ছিল কী?  এখনে পুরোটাই অন্ধকারের কারবার। শিশু বিক্রির খেলা।


ভাদুড়ার এই নার্সিংহোম বেশ পুরনো। কাছের হাসপাতাল বলতে ১৫ কিলোমিটার দূরের ডায়মন্ড হারবার নার্সিংহোম। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে। ফলে এলাকায় এক সময় রীতিমতো পসার তৈরি হয় জীবনদীপের। বছর তিনেক আগে নবজাতকের মৃত্যু ঘিরে ভাঙচুর হয়। তার পরেই কমছিল রোগী। আর ইদানিং নিজেরাই চিকিত্সা বন্ধ করে দেয় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ।


জীবনদীপ নার্সিং হোমে ইদানিং ঠিক কী হত জানেন না এলাকার কেউই। উঁচু পাঁচিল আর কালো কাচের বাধা টপকে কিছু বোঝার উপায় ছিল না কারোরই। তবে ধৃত নার্সিংহোম মালিক হরিসাধন খাঁ আর তাঁর ছেলে প্রবীরের এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিতি।


প্রবীরের মত তাঁর ভাই প্রদ্যোতও নিজেকে চিকিত্সক বলে দাবি করেন। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। স্থানীয়দের কথায়, যে কোনও প্রয়োজনে পাওয়া যায় খাঁ পরিবারকে। তবে এই ভাল মানুষির আড়ালেই চলত শিশু বিক্রির নোংরা কারবার। যা জানতে পেরে  রীতিমতো স্তম্ভিত এলাকার বাসিন্দারা।