ওয়েব ডেস্ক: প্রাসাদের মত বাড়ি। দু -দুটো গাড়ি। রীতিমতো রাজকীয় প্রতিপত্তি শ্যামল আর সাবিত্রী বৈদ্যর। শিশু পাচারের মিডলম্যানের কাজ করে রীতিমতো সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল তাঁরা। তবে আপাতত দুজনেই শ্রীঘরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চোখ ধাঁধানো তিন তলা এই বাড়ির মালিক আর কেউ নয়। ফলতার ফতেপুরে এই বাড়ি বানিয়েছেন শিশু পাচারে অভিযুক্ত শ্যামল আর সাবিত্রী বৈদ্য... ঝাঁ চকচকে পাথার বসানো মেঝে থেকে মহার্ঘ্য আধুনিক অন্দর সাজ কি নেই এখানে। কিছুদিন আগেই এই বাড়ি বানান বৈদ্য দম্পতি... তদন্তকারীদের মতে খান পাঁচেক বাড়ি রয়েছে এই দম্পতির। আছে দুটি গাড়িও। মহেশতলার একটি বাড়ির খোঁজ ইতিমধ্যে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বেহালায় একটি ভাড়া বাড়িরও সন্ধান মিলেছে। তারপর ফতেপুরের এই প্রাসাদ তো আছেই।


মাস খানেক আগে থেকে এই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন শ্যামল ও সাবিত্রী। মাঝে মধ্যেই থাকতেন না তাঁরা। প্রতিবেশীদের বলেছিলেন তাঁদের নার্সিংহোম রয়েছে। অল্পদিন থাকলেও এলাকায় পরোপকারী ইমেজ তৈরি করেন এই দম্পতি। কয়েকদিন আগেই প্রতিবেশীর বিয়ে উপলক্ষে ছেড়ে দেন নিজেদের বাড়ি। সেই দম্পতির আসল রূপ সামনে আসায় রীতিমতে চমকে গেছেন স্থানীয়রা। পূর্বাশা-শ্রীকৃষ্ণ নার্সিং হোমের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছেন শ্যামল। শিশু পাচারের এই দুই কেন্দ্রের চাঁইরা নভেম্বরেরই গ্রেফতার হয়ে গেছেন। তার পরেও কোন জাদুতে এত দিন লুকিয়ে রইল শ্যামল-সাবিত্রী.? শ্যামলের এগারো দিনের পুলিস হেফাজত ও সাবিত্রীর চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।