ওয়েব ডেস্ক: পুলিস-প্রশাসন-পঞ্চায়েত। আছে সবই। সকলের চোখেই সামনেই রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের কারবার। কারা রয়েছেন নেপথ্যে? ঘোলাবাজারের মানুষ বলছেন, মাসোহারার বিনিময়ে চোখ বন্ধ রাখে পুলিস। আর তাই বন্ধ হয়েও হয় না চোলাইয়ের ঠেক। পঞ্চায়েতের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ আম জনতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মেরেকেটে  ছয় বর্গ কিলোমিটার। তারমধ্যেই দশটা চোলাই ঠেক। সন্ধে নামলেই ঘোলাবাজার-শিবনগরের বাতাসে ভাসে ঝাঁঝাঁলো গন্ধ। এলাকার কান পাতলেই শোনা যায় দুটো নাম। সুলতান মোল্লা ও আজিত মোল্লা। চোলাই কারবারের মূল মাথা এই দুজনই।
মনোরঞ্জন নস্কর-শ্যামল নাইয়া- অলক নস্কর-গৌতম নস্করদের চোলাইয়ের ঠেকে এরাই পৌছে দেয় চোলাই।


প্লাস্টিক ও বস্তাবন্দি হয়ে ঠেকে ঢুকে পড়ে চোলাইয়ের পাউচ ও শিশি। শ্যামল-অলকদের ঠেক থেকেই খদ্দেরদের হাতে পৌছে যায় চোলাই। আর গোটা কারবারটাই রমরমিয়ে চলে একেবারে পুলিস প্রশাসনের নাকের ডগায়।



ঘোলাবাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বেলেগাছি পঞ্চায়েত অফিস। তার গায়ে বারুইপুর থানার পুলিস ক্যাম্প। তার ধারেপাশেই খুলে আম চলছে চোলাইয়ের ঠেক। সাধারণ মানুষের অভিযোগ,নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে চোখ বুজে থাকে পুলিস। শুধু পুলিস নয়। আম জনতা নিশানায় এলাকার রাজনৈতিক নেতারাও। দেখেও না দেখা। আম জনতার সুরই যেন স্পষ্ট বেলেগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের গলাতেও। এলাকায় চোলাই কারবারের অভিযোগ শুনে প্রথমে এড়িয়ে গেলেন। তারপর পুরোপুরি অস্বীকার।


পুলিস প্রশাসন সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।আর দুইয়ের তালমিলে বছরের পর বছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে চলছে চোলাইয়ের ঠেক। বিষমদের ছোবলে প্রাণ যাচ্ছে। কবে ভাঙবে এই চক্র? প্রশ্ন আম জনতার। (আরও পড়ুন- শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত শঙ্কর রাওকে জেরা করে উদ্ধার হল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র)