ওয়েব ডেস্ক: অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। ছোট থেকেই এমন অবস্থায় অভ্যস্ত ছিলেন বাঁকুড়ার সারেঙ্গার অমিত দুলে। তবে ২০১৩ থেকে অবস্থা বদলেছিল খানিকটা। সারেঙ্গা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ মিলেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ফের হতাশার অন্ধকারে গোটা পরিবার। শুধু কী অমিত, গোটা রাজ্যের কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ হারানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত দুলে। বাড়ি সারেঙ্গার সুখাডালি। বাবা রবি দুলে, খেতমজুর। মা অর্চনা দুলে, গৃহবধূ। একটা সময় আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল অমিতের পরিবারের। কিন্তু অবস্থা পাল্টায় ২০১৩ সাল থেকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান অমিত। সারেঙ্গা থানায় দিন ১৫-র প্রশিক্ষণ। পরে কাজে যোগদান। প্রথম প্রথম দৈনিক ১৪১ টাকা ৮‍১ পয়সা হারে বেতন মিলত। কিছুদিন হল, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। ২০ মে ছন্দপতন। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, পরদিন অর্থাত ২১ মে থেকেই সারেঙ্গা ও বারিকুল থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ বন্ধ করতে হবে। রাজ্যের বাকি অংশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ বন্ধ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।


চূড়ান্ত হতাশ অমিতের পরিবার। সংসার কীভাবে চলবে, এখন সেই চিন্তায় তাঁরা। জঙ্গল মহলের সারেঙ্গা, বারিকুল তো বটেই, গোটা রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়াররা এখন তাকিয়ে নতুন সরকারের দিকে।