ওয়েব ডেস্ক : বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগানগুলিকে বাঁচাতে নতুন ডিরেক্টরেট তৈরি করল রাজ্য সরকার। আজ তিন জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই নতুন ডিরেক্টরেটের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে পর্যটক টানতে পরিকাঠামো তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এদিন সেচ ও পূর্ত দফতরের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গে বন্ধ ৬ টি চাবাগান নিলামের ভাবনা রাজ্যের


দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের আরও একবার জোর দিলেন তিনি। জোর দিলেন পরিকাঠামো উন্নয়নেও। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিং জেলাকে নিয়ে আজ প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। নজরে ছিল দুর্নীতি থেকে পরিকাঠামো উন্নয়ন। বৈঠকে সেচ ও পূর্ত এই দুই বিভাগের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।


এদিন, প্রকাশ্যেই পূর্ত এবং সেচ দফতরের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্‍‍সনার মুখে পড়েন। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে দুই দফতরের কাজে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে। নদী থেকে তুলে নিম্নমানের  সাদা পাথর রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার আর বিনা অনুমতিতে নদী থেকে পাথর তোলা যাবে না। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় পাচার অনুপ্রবেশ সহ একাধিক বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক হতে নির্দেশ দেন তিনি। সরকারি জমির দখলদারি মানা হবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন-প্রসূতিদের জন্য রাজ্যে প্রথম অপেক্ষালয়


সেচ ও পূর্ত দফতরের পাশাপাশি তাঁর এবারের সফরে নজর রয়েছে চা শিল্পেও। বন্ধ ও রুগ্ন চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের জন্য আগেই ১০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে রাজ্য। আজ চা শিল্পের জন্য ডিরেক্টরেটও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।  এদিনের বৈঠকে নজরে ছিল পরিবহণও। মালদা এবং বালুরঘাটের বিমানবন্দরের উন্নয়নে বুধবার এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গেও মউ সাক্ষর হয় রাজ্যের। মালদায়  ১১৪ একর এবং বালুরঘাটের ১৩২ একর জমির উপর বিমানবন্দর তৈরি হবে। জোর দেওয়া হচ্ছে কোচবিহার ও বাগডোগরা বিমানবন্দরের উন্নয়নে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিদেশ থেকে যাতে আরও বেশি বিমান এই বিমানবন্দরগুলিতে আসে তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়েও প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয় আজ। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য। বিদেশি পর্যটকদের কাছে উত্তরবঙ্গকে আরও পরিচিত করে তোলা এবং শিল্পদ্যোগীদের কাছে উত্তরবঙ্গকে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যেই আপাতত এগোচ্ছে রাজ্য সরকার।