ওয়েব ডেস্ক: কলেজ ভোটের দামামা বাজতেই সংকট কাটাতে তত্পর দুই শিবির। গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতে তৃণমূলের দাওয়াই, ছাত্রদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে তারা। আলিমুদ্দিনের নির্দেশ, যেভাবেই হোক, কলেজ ভোটে লড়তেই হবে এসএফআইকে। সংকটমুক্তি ঘটাতে ছাত্রদের রাশ থাকছে শীর্ষ নেতৃত্বের হাতেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত কয়েক বছর এটাই ছিল কলেজ নির্বাচনের চেহারা। ফের আসছে ভোট। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কে কোথায় দাঁড়িয়ে। মোট কলেজ ৫৩৬। ভোট হয় ৪৮৪টি কলেজে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৪৬২টি কলেজ। এসএফআই ১২টি, ছাত্র পরিষদ ৬টি এবং বাকি অন্যান্য। এর মধ্যে ৪৪৬টি কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি জয়ী হয়েছে। ডিসেম্বরে ভোট। তার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই, দুই শিবিরেই এখন এক নতুন সংকট।


সংকটে TMCP


কলেজজুড়ে এখন শুধুই টিএমসিপি। সবাই প্রার্থী হতে চায়। আর তার জেরেই গোষ্ঠীকোন্দল। ভোট এলে এই কোন্দল কোথায় যাবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় তৃণমূল নেতৃত্ব। 


TMCP-র কৌশল


সংকট কাটাতে স্থির হয়েছে, জেলার নেতারা ছাত্রনেতাদের নিয়ে বসে তাঁদের মতামত নেবেন। প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে জেলা নেতৃত্বই। 
   
সংকটে SFI


এসএফআইয়ের কাছে মূল সংকট সব কলেজে প্রার্থী দেওয়া। গতবার ৬০টি কলেজে প্রার্থী দিয়েছিল। এবার অবশ্য কোমর বেঁধেই নামতে চায় এসএফআই। কিন্তু এই সাংগঠনিক শক্তি এবং গন্ডগোলের আশঙ্কা নিয়ে সত্যিই কি প্রার্থী দেওয়া সম্ভব?



তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের নিয়ে বসেছিল তৃণমূল ভবন। এসএফআইকে নিয়ে বসেছিল আলিমুদ্দিন। একদলের কাছে ভাবনা গোষ্ঠীকোন্দল এড়ানো, অন্যদলের কাছে ভাবনা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। একদল চায়, ভোট ঘিরে যাতে নতুন করে খবর তৈরি না হয়। অন্যদল চায় ছাত্রদের সামনে রেখেই লড়াইয়ের ময়দানে ফিরতে। অর্থাত্‍ হোক না ছাত্রভোট, স্টিয়ারিং কিন্তু নেতাদের হাতেই।