ওয়েব ডেস্ক: প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির খাসতালুকে এবার জোটের রসায়ন। তৃণমূলকে হঠাতে যৌথ প্রচারে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরকাড়া কেন্দ্র রায়গঞ্জ। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে রায়গঞ্জের পরিচিতি।বামেদেরও সাংগঠনিক শক্তি থাকায় বরাবর হাত-হাতুড়ির লড়াই দেখেছেন রায়গঞ্জের মানুষ।এবার পরিস্থিতি একদম অন্যরকম। গোটা রাজ্যের মতো রায়গঞ্জেও এক হয়েছে হাত-হাতুড়ি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে বামফ্রন্টের প্রার্থী কিরণময় নন্দকে সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সতেরো হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ও তৃতীয় স্থানে ছিল বামেরা।


বামেদের সমর্থনে এ বারও বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। উল্টোদিকে লোকসভা ভোটের পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা পূর্ণেন্দু দে। যিনি কখনও ভোটে হারেননি। রাজনৈতিক মহল বলছে, খাতায় কলমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও রায়গঞ্জে আসলে দ্বিমুখী লড়াই। রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি গঠন-সহ উন্নয়নের ইস্যুতে ভোট চাইছেন তৃণমূল প্রার্থী। বিরোধীরাও নানা ইস্যুতে বিঁধছেন শাসকদলকে। এইমস না হওয়া, রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহ - প্রচারে বিরোধীদের বড় ইস্যু। ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আশাবাদী দুই প্রার্থীই। ভবানীপুর ছেড়ে রায়গঞ্জ ছুটছেন দীপা দাশমুন্সি। কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ছবি। সামনে না থেকেও তিনি আছেন। বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী রায় দেবে রায়গঞ্জ? চড়ছে কৌতুহলের পারদ।