ওয়েব ডেস্ক: হালকা শীতে ভোটের উত্তাপ। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে খাতায়-কলমে চতুর্মুর্খী লড়াই। যদিও ভোটাররা বলছেন কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর প্রচারে তেমন ধার ছিল না। বরং নোট বাতিলের পর তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে চলছে সরাসরি টক্কর। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। গত লোকসভা নির্বাচনে বাদ পড়া নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে প্রার্থী করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। গতবার তৃতীয় স্থানে থাকা হেমচন্দ্র বর্মন এ বারও বিজেপির প্রার্থী। কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন প্রার্থপ্রতিম ঈশোর। তৃণমূল সাংসদ রেণুকা সিংহের মৃত্যু হওয়ায় কোচবিহারে অকাল ভোট। দু-হাজার চোদ্দোর লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সাতাশি হাজার একশো সাত ভোটে হারিয়ে দেন রেণুকা সিংহ। গত বিধানসভা ভোটে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাথাভাঙা, কোচবিহার-দক্ষিণ, শীতলখুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। কোচবিহার-উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় ফরওয়ার্ড ব্লক। গত লোকসভা ভোটে এই সাত বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন আজ কলকাতার তাপমাত্রা কত? আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে?


উপ-নির্বাচনে বরাবরই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে শাসকদল। গত বিধানসভা ভোটে গোটা রাজ্যে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর কোচবিহারে পরিস্থিতি একইরকম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে প্রচারে সব ইস্যু ছাপিয়ে উঠে এসেছে নোট বাতিলের প্রসঙ্গ। তৃণমূলের ইস্যু নোট বাতিলের জেরে মানুষের দুর্ভোগ। বামেরা এই ইস্যুতে একইসঙ্গে বিঁধছে বিজেপি-তৃণমূলকে। আর বিজেপির আশা প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে ভোটের বাক্সে পদ্ম ফোটাবেন ভোটাররা। ই-টেন্ডার ছাড়াই কাজের বরাত। সেল্ফ চেকে এক কোটি সাতাত্তর লাখ টাকা তুলে নেওয়ায় কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রেবা কুণ্ডুর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গরম ভোটের বাজার।
উপ-নির্বাচনে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাস আর কোচবিহার পুরসভার ট্রেজারি কেলেঙ্কারিকে ইস্যু করছে বিরোধীরা। উপ-নির্বাচনে রয়েছে আরও দুটি ফ্যাক্টর। ভোটারদের একটা অংশ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থক। আর সাবেক ছিটমহলের প্রায় ন-হাজার মানুষ এ বার ভোট দেবেন। রাজনৈতিক মহল বলছে, গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় বিজেপিকে সমর্থন করায় উপ-নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কিছুটা সুবিধা হবে। ছিটমহল আন্দোলনের নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্তও দলে যোগ দেওয়ায় লাভ কুড়োতে পারে বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কি সেই জনভিত্তি ধরে রাখতে পারছে? কতটা শক্তি বাড়াতে পারছে বিজেপি? সিপিএম -কংগ্রেসের অবস্থাই বা কী? রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণের হিসেব করতে বসে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া জরুরি। উপ-নির্বাচন তার একটা ইঙ্গিত দিতে পারে ধরে নিয়ে চড়ছে কৌতুহলের পারদ।


আরও পড়ুন  নোট বাতিলের জের, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত একাধিক ব্যাঙ্কের!