ব্যুরো:কোচবিহারে সরকারি হোমে কুকীর্তি ফাঁস। দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতেই, শোরগোল রাজ্যজুড়ে। কিন্তু এটা কি হিমশৈলের চূড়ামাত্র? অপরাধের আরও কীর্তিকলাপ লুকিয়ে,এই হোমের চার দেওয়ালের মধ্যে? এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসনও। ছ-দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত কছুয়া মিঞাকে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি হোম। তাও নিরাপদ নয়। সরকারি হোমে ধর্ষণ!


কোচবিহারের শহিদ বন্দনা হোমে  দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হোমেরই সাফাই কর্মী। এ ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা  রাজ্যে। হোমের আবাসিক সংখ্যা পচাশি। কিশোরী-তরুণীরা যেমন আছেন, শিশুরাও আছে। আবার কেউ হয়ত প্রতিবন্ধী। প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি নিগ্রহের শিকার ওই দুই কিশোরী, যাদের ঘটনা সামনে এসেছে?
নাকি আরও অপরাধ এখনও রয়ে গেছে আড়ালে?


অন্য আবাসিকরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হননি, এ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না জেলা প্রশাসনও। ইতিমধ্যে হোমের সুপার সুপর্ণা বর্মণ এবং জেলায় DSW -এর অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে। এডিএম, এসডিও সহ তিন জনের তদন্ত কমিটি গড়েছে জেলা প্রশাসন। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে শহিদ বন্দনা হোমের সমস্ত আবাসিকের মেডিক্যাল করানোরও ভাবনাচিন্তা করছে প্রশাসন।


ধৃত কছুয়াকে এদিন  ছ-দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তাকে জেরায় অনেক সূত্র মিলতে পারে, মনে করছে পুলিস। আর কেউ জড়িত কিনা, কোনও মদতদাতা ছিল কি? উঠছে এমন অনেক প্রশ্ন। সবচেয়ে বেশি করে এদিন অবশ্য উঠে এসেছে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ক্ষোভ। মুখ খুলেছেন মহিলারাই। এভাবে আর কতদিন? কোথায় গেলে মিলবে নিশ্চিন্ত আশ্রয়, একটু নিরাপত্তা! .... প্রশ্ন এদের।