ওয়েব ডেস্ক: কান্দিকাণ্ডে পুলিস সুপারের রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করল হাইকোর্ট। কাউন্সিলর আদৌ অপহরণ হয়েছিলেন কি হননি? এই মূল প্রশ্নের উত্তরই নেই রিপোর্টে। এসপির রিপোর্ট তদন্তের ধারাবিবরণী ছাড়া কিস্যু নয়। মন্তব্য বিচারপতির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


কান্দিকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে এর আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আদালতে ওসিকে ডেকে তীব্র ভর্ত্সনাও করেন তিনি। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে শুধু সমালোচনায় নয়, প্রশাসনের কঙ্কালসার অবস্থা বোঝাতে তাঁর মন্তব্য ছিল


প্রশাসনের অবস্থা হতাশাজনক। মেরুদণ্ডহীন লোকেরা এখানে রয়েছেন। চাপের মুখে কাজ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। সেই মামলার এজলাস বদলছে। শেষ দিন যেখানে শেষ করেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি, বুধবার শুরু করেন সেখান থেকেই। এদিনও তিনি পুলিসের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। কান্দি মামলায় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তেরই সুর বজায় রেখেছেন বিচারপতি আই পি মুখার্জিও।


আদালতের সাধারণ প্রশ্ন ছিল, কাউন্সিলর আদৌ অপহরণ হয়েছিলেন কি হননি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই এসপিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন সেই রিপোর্ট পড়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি আইপি মুখার্জি।


মূল প্রশ্নের উত্তরই নেই রিপোর্টে। কাউন্সিলরকে অপহরণ করা হয়েছিল না হয়নি? যে রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়েছে তা আদতে তদন্তের গতিপ্রকৃতির ধারাবিবরণী ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি রিপোর্টে।


বিচারপতি ফের নির্দেশ দেন, মূল প্রশ্নের উত্তর চাই। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। এর আগের দিনও পুলিসের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে, প্রয়োজনে মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি পনেরই মার্চ।