মাখড়াকাণ্ডে আরও এক কীর্তি ঘটিয়ে সিউড়ি আদালতে প্রবল ভর্তসনার মুখে পড়তে হল পুলিসকে। তৌসিফ শেখ খুনের ঘটনায় ধৃত আলি জিন্নাকে গতকালই পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল সিউড়ি আদালত। আজ একই অভিযোগে, জিন্নাকে ফের আদালতে হাজির করে পুলিস। এই চরম গাফিলতিতে ক্ষুদ্ধ বিচারক জেলা পুলিস সুপারকে তলব করেছেন।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাখড়ায় মাস্কেটবাহিনীর গুলির শিকার হয়েছিল তৌসিফ শেখ। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলি জিন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিস। বুধবার জিন্নার পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় সিউড়ি আদালত। বৃহস্পতিবার আরও তিন অভিযুক্তের সঙ্গে ফের একবার জিন্নাকে আদালতে হাজির করে পুলিস। বিচারক ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি  জানতে চান, জিন্নাকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে? স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি পুলিস। চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারক। তলব করেন পাড়ুই থানার ওসি কার্তিক ঘোষ ও আইও ধ্রুবজ্যোতি দত্তকে। দুজনকেই বিচারকের প্রবল ভর্তসনার মুখে পড়তে হয়


বিচারক- আপনারাই বলুন এবার আমি কী করব? যে ঘটনায় অভিযুক্তের আগেই পুলিসি হেফাজত হয়েছে তাঁকে আপনারা লক আপ থেকে তুলে আনছেন। ল অ্যান্ড অর্ডারের ল টাই বাদ দিয়েছেন আপানারা। ল  না পড়েই অর্ডার করছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে তো কেস করতে হয়। বিচারকের প্রবল ভর্সনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেন  ওসি ও আইও। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়নি। বিচারক বলেন, "আমি আজ কোনও অর্ডার দিচ্ছিনা। যা ঘটছে পুরোটাই বিস্ময়কর। আগামিকাল আপানারা দুজনেই ফের হাজির হবেন। আসতে হবে পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়াকেও।"


মাখড়াকাণ্ডে ধৃত আরও তিনজনের পাঁচদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।