ওয়েব ডেস্ক: স্ট্রিট কর্নার, রোড কর্নারের ভাষায় সম্পূর্ণ বদল। ভোটের উত্তাপে এখন চলছে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল। বামেদের স্লোগানে ছক্কা হাঁকা বা আউট করার ডাক। এখানেই শেষ নয়, ভোট যুদ্ধে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে এখন বেশি মন বামপন্থীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাঁরা হাসতে জানেন না বলে কটাক্ষ করতেন কংগ্রেসিরা, তাঁদের মুখে এ কী শব্দ! আসলে সময়টাই বড় চ্যালেঞ্জিং। তাই ভোটের  সঙ্গে জনপ্রিয় ক্রিকেটকেও জুড়ে দিচ্ছেন বামপন্থী নেতারা। শুধু কী তাই! ভোট ময়দানে এক সময়ের সূর্যবাবু এখন স্মার্ট ফোন হাতে সূর্যদা। কথায় কথায় ট্যুইট করছেন। ট্যুইট বাণে বিদ্ধ করছেন প্রতিপক্ষকে। জিগ্যেস করলে মুখেও বলছেন ট্যুইটের কথা।  


এবার আসা যাক আরেক নেতার কথায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার এক সময়কার দাপুটে সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। রাজ্য সরকারের সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর সামলেছেন দাপটের সঙ্গে। জনসংযোগের ক্ষেত্রে যাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি এবার লোক চাইছেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন কান্তিবাবু। ভোটে কাজ করতে চাইলে তাঁর কাছে যেন বায়ো ডাটা পাঠানো হয়, সে জন্যই কান্তিদার পোস্ট।


আর সিপিএমের ছাত্র-যুবরা? তাঁরাও বুঁদ সোস্যাল মিডিয়ায়। কসবার শতরূপ ঘোষ হোক বা বেহালা পশ্চিমের কৌস্তুভ চ্যাটার্জি, সকলেই পথে হেঁটে প্রচার তো করছেনই। নজর রাখছেন ফেসবুক-ট্যুইটারে। হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ খুলে প্রতি মুহূর্তে দিচ্ছেন ভোট আপডেট।


কেন এমন অবস্থা বামপন্থীদের? কংগ্রেস ঘরানার লোকেরা বলছেন, অনেক লেটে বুঝলেন কমরেডরা। শুধু বই  ছাপিয়ে, ক্লাস করিয়ে পার্টির নীতি শিক্ষার পাঠ দেওয়ার দিন এখন আর নয়। যুগটাই আসলে বদলে গিয়েছে। যুগের সঙ্গেই বদলাতে হবে কমিউনিস্ট আচরণ।