ওয়েব ডেস্ক: দু মাসও কাটল না, এরমধ্যেই নতুন দু হাজার টাকার নোট জাল করে ফেলল দুষ্কৃতীরা। এবারও ধরা পড়ল সেই মালদা। জাল নোটের প্রবেশ দ্বার মালদার বৈষ্ণবনগরে জিয়াউল শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উদ্ধার হয়েছে জাল নোট। যদিও পুলিস এখনও এ ব্যপারে মুখ খুলতে নারাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আটই নভেম্বর। ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাসে গাঢ় অক্ষরে লেখা একটি তারিখ মাত্র নয়। গোটা দেশ শরিক হয়েছিল, নতুন করে পরিচিত হয়েছিল নতুন একটা শব্দের সঙ্গে, ডি মনিটাইজেশন। এই শব্দের হাত ধরেই দু-হাজার টাকার নতুন নোটের আমদানি। স্পষ্ট বার্তা ছিল, জাল হবে না নতুন নোট। উঠেছিল নোটের পেপার কোয়ালিটির কথা, কালির কথা, দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসেবে টাকা ছাপার মেশিনের কথা। বদল হয়েছিল এটিএমের নোট কেসেরও। এত সত্তেও দু মাস যেতে না যেতেই সেই নোটেই জাল। এবারও সেই মালদায়। তাহলে কী দু-মাসেই নতুন দু হাজারের নোট জাল করার কলাকৌশল আয়ত্তে চলে এসেছে জালিয়াতদের ? উত্তর নেই।


ডি মনিটাইজেশনের পর দেখা গিয়েছিল কাশ্মীরের অশান্তি খানিকটা বন্ধ, বলা হয়েছিল, জাল নোটের সাপ্লাই নেই তাই বন্ধ অশান্তি। আদতে দুহাজার তেরোতে প্রথম নজরে আসে জাল নোট এবং জঙ্গি যোগের সম্পর্ক। জম্মু কাশ্মীরে এক লক্ষ দশ হাজার টাকার জাল নোট সহ ধরা পড়ে মালদার চার যুবক। প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি জাল নোট যোগসাজস। কাশ্মীরের হিজবুল মুজহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠির সঙ্গে মালদার ওই চার যুবকের যোগ মেলে।


আরও পড়ুন


রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে শিখর ধাওয়ানকেই চাইছেন গাভাসকর



দেখা গেছে যেখানে যত জাল নোট, তার অধিকাংশের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে মালদার যোগ। পুলিসি তদন্তে উঠে আসে ভৌগলিক এবং অর্থনৈতিক কারনে বাংলাদেশ সীমানা লাগোয় মালদা জাল নোটের এন্ট্রি পয়েন্ট। গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, সীমান্তের ওপর বাংলাদেশ দিয়েই জালনোট ঢোকানে হচ্ছে। জাল নোটের রুটও খানিকটা চিহ্নত করেছিল গোয়েন্দারা। সেই রুটে রয়েছে ইসলামাবাদ, কাঠমান্ডুর যোগাযোগ।


তবে কী ফের নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল জাল নোটের চোরাকারবারীরা। নকল করা সম্ভব হয়েছে নতুন দু-হাজার নোটও। মালদায় জাল নোট সহ গ্রেফতারির খবরে আবার উঠতে সুরু করেছে সেই প্রশ্ন।