ওয়েব ডেস্ক : মোদী 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র স্বপ্ন ফেরি করছেন। দেশের প্রত্যন্ত থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম জুড়বে ডিজিটাল কানেকশনে। কিন্তু, বাস্তব আজও পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই 'দেনাপাওনা'র যুগে। পণের টাকা দিতে না পারায় মরতে হয়েছিল নিরুপমাকে। বীরভূমের 'নিরুপমা'কে মরতে হল তাঁর গায়ের রং 'কালো' বলে। খাপ পঞ্চায়েত, সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের পর এবার জীবন্ত পুড়িয়ে মারা। ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক গ্রামের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্র 'দ্য টেলিগ্রাফ'-এ প্রকাশিত হয়েছে খবরটি। অভিযোগ, গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুড়িয়ে মারে এক সন্তানের জননী ২২ বছরের ওই যুবতীকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ছেলের আবার বিয়ে দিয়ে ফর্সা বউ ঘরে আনা।


মৃত্যুকালে দেওয়া জবানবন্দিতে নির্যাতিতা পুলিসকে জানিয়েছেন, ৩ জুন রাতে তাঁর স্বামী ও তিন দেওর এবং শাশুড়ি তাঁকে একটা ঘরের মধ্যে প্রথমে আটকে দেয়। তারপর চারদিকে কেরোসিন ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।


আজ সকালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। অভিযুক্ত স্বামী নাসির শেখ ও বাকি শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, তিন বছর আগে নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে ১ লাখ টাকা ও ১০ কাঠা জমি পণের বিনিময়ে বিয়ে হয় নাসিরের। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য অত্যাচার শুরু করে  নাসির ও তার পরিবারের লোকজন।