ওয়েব ডেস্ক : পুজোর মুখে ফের ধাক্কা আসানসোল -দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে।  হিন্দুস্তান কেবলস-এর পরে এবার দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ব এই সংস্থাকে বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটল রাজ্য। নবান্নের নির্দেশ ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে কারখানায়। আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ শ্রমিকদের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্তটা হয়েছিল তিন সপ্তাহ আগে। ধাক্কাটা এল পুজোর ঠিক মুখে। রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেডকে বিলগ্লিকরণের নোটিস পৌছল।বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই সংস্কারের পথে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসানে চলা কারখানা বন্ধ করে সেই জায়গায় নতুন কারখানা গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরির চেষ্টা চলছে।


অগাস্ট মাসেই ৩টি রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা, লিলি বিস্কুট, নিও পাইপস ও ন্যাশনাল আয়রন ও স্টিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকেই দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তও হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নবান্নের সিদ্ধান্ত নোটিস আকারে পৌঁছেছে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। সরকারি সিদ্ধান্তে খবর জানাজানি হতেই শ্রমিক মহলে উদ্বেগের ছায়া। পুজোর মুখে তাঁদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে চরম আশঙ্কায় স্থায়ী -অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫৫০ শ্রমিক।


১৯৬৩-র জুলাই মাসে দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড তৈরি হয়। ১৯৬৮ সাল থেকে কারখানায় বাণিজ্যিক উত্‍পাদন শুরু হয়। রাষ্ট্রায়ত্ব এই সংস্থাটি মূলত ফেনল,বেঞ্জিন,ক্লোরিন, কস্টিক সোডা, ব্লিচিং পাউডার উত্‍পাদন করে। ১৯৮৮ সাল থেকেই লাগাতার লোকসানে চলছিল DCL। ২০০৪-২০১০ পর্যন্ত  কারখানাটি পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা হয়। কিন্তু, লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত, ধুঁকতে থাকা দুর্গাপুর কেমিক্যালস ১০০ শতাংশ বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী শিবির।


বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে কিছুটা অস্বস্তিতে INTTUC। বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার কারখানা চত্বরে মিছিল করবে সিটু। বুধবারই আসানসোলের হিন্দুস্থান কেবলস লিমিটেড কারখানা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে DCL বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের জেরে আশঙ্কার ছায়া রাজ্যের শিল্পমানচিত্রে।