বসিরহাট: ভোটের ময়দান বসিরহাট দক্ষিণ। দুই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী দীপেন্দু বিশ্বাস এবং শমীক ভট্টাচার্য। টানটান লড়াই। উত্তেজনার পারদ চরমে। কখনও এগিয়ে যাওয়া। কখনও পিছিয়ে পড়া। ফাউল প্লের অভিযোগ। রি-রোলিং। ম্যাচ কমিশনার সুনীল গুপ্তার হস্তক্ষেপ। শেষ হাসি অবশ্য শমীক ভট্টাচার্যের। বাংলার শেষ সফল স্ট্রাইকারের পা থেকে বল কেড়ে তৃণমূলের তেকাঠিতে বল জড়িয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী। জয় এল ১৫৮৬ ভোটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম রাউন্ডের গণনার শেষে ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস এগিয়ে যান ২ হাজার ২৮৫ ভোটে।


এরপর শুরু মুহুর্মুহু আক্রমণ। দ্বিতীয় আর তৃতীয় গোলটি অনায়াসে করে ফেলেন দেশের এই খ্যাতনামা ফুটবলার।


লিড পৌছে যায় ৭ হাজার ৫১৪।


তৃণমূলের একের পর এক আক্রমণে তখন রীতিমতো দিশেহারা গোটা বিজেপি শিবির। একসময় দেখা যায় শুধুমাত্র একজনকে ওপরে রেখে গোটা টিম নেমে এসেছে ডিফেন্সে। এই সুযোগে আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ায় টিম তৃণমূল ।


চতুর্থ রাউন্ডের শেষে এগিয়ে থাকার ব্যবধান পৌছে যায় প্রায় ১১ হাজারে।


প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ফের দর্শনীয় গোল বাঙালি স্ট্রাইকারের।


দীপেন্দুর মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়াতেই একধাক্কায় লিড পৌছে যায় ১৭ হাজার ৮০।


হাফটাইমে কিছুটা কৌশল বদল করে বিজেপি। এতক্ষণ ছিল মূলত গ্রামবাংলার ভোট। ষষ্ঠ রাউন্ড থেকে শহরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আস্তে আস্তে পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করে বিজেপি।


টিম তৃণমূলের স্কোর ১৭ থেকে কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজারে।


বাড়তি উত্সাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির।


অষ্টম রাউন্ডে তৃণমূলের ১৪ হাজারের মার্জিন নেমে দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৩১।


বিজেপির এই অলআউট আক্রমণে কিছুটা যেন খেই হারিয়ে ফেলেন সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা দীপেন্দু।


নবম রাউন্ডের শেষে অনেকটাই মার্জিন কমিয়ে ফেলেন পোড় খাওয়া রাজনীতিক শমীক ভট্টাচার্য। লিড কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১৭৩।


ততক্ষণে তৃণমূল টিম মরিয়াভাবে ডিফেন্স করার চেষ্টা করলেও জয়ের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে বিজেপি।


দশম রাউন্ডের শেষে দুটি টিমের ফারাক  কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৩।


শেষ রাউন্ডের গণনা শুরু হতেই মাঠের উত্তেজনা চরমে। ব্যালট বক্সকে কেন্দ্র করে ম্যাচ রেফারির কাছে ফাউলের আবেদন জানায় তৃণমূল । তাদের দাবি,  ম্যাচ বাতিল করে পুনর্গণনা করতে হবে। তৃণমূল শিবিরের এই দাবি না মানলেও হিসেব নিকেশ ঠিক আছে কি না তা একবার যাচাই করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। উত্তেজনা চরমে ওঠে। মাঠের মধ্যেই আধা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুদলের সমর্থকরা।


শেষ পর্যন্ত ১৫৮৬ ভোটে জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি টিম।