ওয়েব ডেস্ক: প্রচন্ড গরমে খাল-বিল শুকিয়ে কাঠ। অতিষ্ঠ বনের পশুরাও। জলের খোঁজে লোকালয়ে বাড়ছে হাতির হানা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও। শুধুমাত্র গত ১০ দিনেই, ঝাড়গ্রাম মহকুমায় হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গাছের তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটু যেন স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা। মাথার ওপর ছাদ তো নেই। কেউ এসি-তেও বসতে ডাকবে না। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়, এত অসহ্য গরম! একে জঙ্গল কেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে। এদের কী হবে, একথা দু বার ভাবে না কেউ। বাড়ছে খাবারের সঙ্কট। তার ওপর যে খাল-বিল, পুকুর রয়েছে বনের মধ্যে, এই গরমে তাও শুকনো। এভাবে রাজার চালে চলার দিন কোথায় যে গেল! এরাও বোধহয় ভাবে। কিন্তু বাস্তব এটাই। জীবন এখন রুক্ষ, শুষ্ক। অগত্যা জলের খোঁজে কাছেপিঠের লোকালয়ের দিকেই পা বাড়াচ্ছে গজরাজেরা। বাড়ছে হাতির হানা।


পশ্চিম মেদিনীপুরে শালবনীর ভাওদা গ্রামে, বৃহস্পতিবার রাতে হাতির হামলায় গুরুতর জখম হন স্বামী-স্ত্রী বঙ্কিম মাহাত ও সারথী মাহাত। পরে স্বামীর মৃত্যু হয়। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন সারথী মাহাত। ঘর-বাড়ি ভাঙচুর, ফসলের ক্ষতিও হচ্ছে বিস্তর। বনদফতরও জানাচ্ছে, জল এবং খাবারের খোঁজেই লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল। বৃষ্টি তাড়াতাড়ি না হলে কী যে হবে, এখন এটাই চিন্তা বন দফতরের।