ওয়েব ডেস্ক: উদ্বোধনের দিনই ময়দানে নেমে পড়ল ঐরাবত। হাতি ধরতে সোমবার চারটি মোবাইল এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের ফ্ল্যাগ অফ করেন বনমন্ত্রী। তখনই খবর আসে, বীরভূমের ইলামবাজারে হানা দিয়েছে দাঁতাল। বাঁকুড়াগামী ঐরাবতকে ইলামবাজার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন বনকর্তারা। দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গের জন্যও চারটি ঐরাবত আনতে চলেছে বন দফতর। জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণবঙ্গে হাতি-মানুষ সংঘাত এখন জ্বলন্ত সমস্যা। কখনও বলি হচ্ছে মানুষ। নষ্ট হচ্ছে ফসল, সম্পত্তি। কখনও বেঘোরে মারা যাচ্ছে হাতি। পরিস্থিতি সামলতে এবার ভ্রাম্যমাণ এলিফ্যান্ট রেসকিউ ভ্যান নামাল বন দফতর। পোশাকি নাম ঐরাবত। সোমবার এমনই চারটি গাড়ির উদ্বোধন করেন বন মন্ত্রী বিনয় বর্মণ। মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় হাতির পালের অবস্থা অনুযায়ী ঘুরে বেড়াবে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সাজানো চারটি গাড়ি।   


ভারী ওজন বহন করতে সক্ষম এই গাড়িতে থাকছে হাতি ধরার সমস্ত অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। ঘুমপাড়ানি বন্দুক ও গুলি, ওষুধ, হাতি ও মানুষের জন্য ফার্স্ট এইড,
সার্চ লাইট, গাড়ির গায়ে থাকছে ফ্লাড লাইট সবই থাকবে। বনকর্মীদের জন্য হেডল্যাম্প ও রিফ্লেক্টর জ্যাকেট থাকছে, আরও থাকছে নানা মাপের জাল ও চেইন, মজবুত স্লিং বা বেল্ট, 2 KV পোর্টেবল জেনসেট, এক্সটেনশন কেবল, অত্যাধুনিক কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ওয়াকি টকি।  


এক একটি গাড়িতে থাকবেন দশ জন করে বনকর্মী। শুধু হাতি নয়, প্রয়োজনে লেপার্ড বা অন্য বন্য প্রাণী লোকালয়ে ঢুকলেও কাজে লাগানো হবে ঐরাবত। বনমন্ত্রী যখন মোবাইল এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের উদ্বোধন করছেন, তখনই খবর আসে বীরভূমের ইলামবাজারে হানা দিয়েছে দাঁতাল। 


বাঁকুড়াগামী ঐরাবতকে বীরভূমের দিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষজ্ঞ বনকর্তা সুব্রত পালচৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল রওনা হয়ে যায়। আপাতত বাঁকুড়ার ঐরাবত বীরভূমের কাছে স্টেশন করে আছে। প্রয়োজনে সামলাতে হবে ইলামবাজারের দাঁতালকে।