ওয়েব ডেস্ক: শিশু পাচার কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য সিআইডির হাতে। তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজন নামী চিকিত্সকের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এঁরা। কলকাতা , দুই চব্বিশ পরগনা ছাড়াও বর্ধমান, নদিয়া আর হুগলির কয়েকজন চিকিত্সক রয়েছেন গোয়েন্দা রেডারে। কোথাও নার্সিংহোম, কোথাও আবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল শিশু বিক্রির অমানবিক কারবার। আর এই কালো কারবারের নেপথ্যে কয়েক জন চিকিত্সক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুমুর্ষুকে জীবন দান করা যাদের কাজ তারাই শিশু বিক্রির দালালিতে। গোয়েন্দারা বলছেন, মছলন্দপুর, ঠাকুরপুকুরের পূর্বাশা বা দোস্তিপুরের হোম হিম শৈলের চূড়া মাত্র। এই পাচার চক্রের জাল আরও বড়। এর পিছনে রয়েছে আরও বড় রাঘব বোয়াল। গাইঘাটার চিকিত্সক তপন বিশ্বাস বা শ্রীকৃষ্ণ নার্সিং হোমের সন্তোষ সামন্তই শুধু নয় একাধিক জেলার বেশ কয়েকজন নামী চিকিত্সক জড়িয়ে রয়েছে এই চক্রে।


আরও পড়ুন দোস্তিপুরে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত হোমের আড়ালে শিশু বিক্রির রমরমা


উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া, মছলন্দপুর বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা ছাড়িয়ে গোয়েন্দাদের নজরে এবার বর্ধমান, নদিয়া আর হুগলির বিভিন্ন নার্সিংহোমে। তদন্তে নেমে এইসব এলাকায় বেশ কয়েকজন নামী চিকিত্সকের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এরা।


তদন্তে নেমে দুই চব্বিশ পরগনা ছাড়াও নদিয়া, বর্ধমান, হুগলির বেশ কয়েকটি নার্সিং হোমে হানা দেন গোয়েন্দারা। নার্সিংহোমের রেজিস্ট্রারে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখা হয়। সেখান থেকেই চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। সামনে আসে পাচারে যুক্ত চিকিত্সকদের নাম। গোয়েন্দারা বলছেন, পাচারের পিছনে কাজ করত একটা সংগঠিত চক্র। যার মাস্টার মাইন্ড এই চিকিত্সকরা। এই চিকিত্সকরাই শিশু পাচারে সব থেকে বেশি লাভবানও হত। এই চিকিত্সকদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে CID। তাদের গ্রেফতার করা হবে।


আরও পড়ুন নোট বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অল আউট আক্রমণে মমতা