ওয়েব ডেস্ক : গ্রামবাসীদের অরাজনৈতিক আন্দোলন বদলে গেল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। আর তার জেরে ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়। ফের বিতর্কের কেন্দ্রে আরাবুল ইসলাম। সামনে এসেছে সিন্ডিকেটের দখলদারির রাজনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় বোমাবাজি পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাছিভাঙায়। মঙ্গলবার সকালেও ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিস। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বোমাবাজি হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের মদতে। সক্রিয় ভূমিকা নেয় পোলেরহাট দু নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমূল ইসলাম।  মঙ্গলবার সকালে আরাবুলের গ্রেফতারের দাবিতে কাশীপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান  গ্রামবাসীদের একাংশ। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরোধ করা হয় সামনের রাস্তা ।


কিন্তু কী কারণে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়?
মাছিভাঙা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন তিনশো কেবির সাবস্টেশন তৈরিকে কেন্দ্র করে সূত্রপাতে। সেই জমির পাশে আরও জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি পোতা শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,  তিনফসলি জমি কিছুতেই তাঁরা ছাড়বেন না। আর  সেটা আটকানোর জন্যই  আন্দোলন। একাংশের অভিযোগ, জমি দখলের পেছনে রয়েছে আরাবুল ইসলাম। আন্দোলন ঠেকাতেই বোমাবাজি। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ আরাবুল গোষ্ঠী। পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের সাবস্টেশন তৈরিকে কেন্দ্র করে আসলে সামনে আসছে সিন্ডিকেটের রমরমা। দখলদারি কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে সম্মুখ সমরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী। গ্রামবাসীরা এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক রাখার চেষ্টা করলেও এর থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে আরাবুলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। Sofks সোমবার রাতে নতুনহাটে  তৃণমূল নেতা মোস্তাফা মোল্লা ওরফে মোস্তোর পার্টি অফিসে তালা মেরে দেওয়া হয়।