একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে বন্যায় ফসল নষ্ট।  দুয়ের চাপ সামলাতে না পেরে হুগলির আরামবাগে আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতের দাবি, আসলে পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই বন্যা কেড়ে নিয়েছে সবকিছু। ঘরবাড়ি, চাষের জমি...সবই জলের তলায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চোখের সামনে ফসল নষ্ট হতে দেখেও, কিছুই করতে পারেননি আরামবাগের রামনগরের লক্ষ্মীকান্ত পসার। তিল ও ধানচাষে ক্ষতি, সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে নেওয়া ঋণ কীভাবে শোধ করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন লক্ষ্মীকান্ত পসার। শেষপর্যন্ত বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এই কৃষক।


যদিও, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই আত্মহত্যা। বন্যার প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের কৃষকরাও। এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। কান্দি মহকুমায় কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত। ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন বেশিরভাগ কৃষক। ফসল জলে চলে যাওয়ায়, মাথায় হাত তাঁদের। সরকারি সাহায্য ছাড়া ওই ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এই অবস্থায় প্রশাসন কী করে সেদিকেই এখন নজর তাঁদের।