ওয়েব ডেস্ক: সাত সকালে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ভেঙে পড়েছিল উড়ালপুল। বছর ঘুরতে চললেও, সেই আতঙ্কের রেশ থেকে গেছে। পোস্তার স্মৃতি উসকে দিল মগরার ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সাত সকালে হঠাত্‍ বিপত্তি। মগরার তেরো নম্বর রেলগেটের ওপর নির্মিয়মাণ উড়ালপুলের একটি গার্ডার হঠাত্‍ই ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। উড়ালপুলের পাশ দিয়ে জিটি রোডের লেন দিয়ে যান চলাচল করছে। আশপাশে বেশ কিছু দোকানপাটও আছে। কাছেই কাজ করছিলেন নিমাণকর্মীরা। মুহুর্তে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিজের নিচে একটি ডাম্পার চাপা পড়লেও, প্রাণহানি হয়নি।


আরও পড়ুন শিখে নিন কীভাবে বাড়িতে সহজে বানাবেন ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক’


ডানকুনি থেকে দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তারই অংশ এই নির্মীয়মাণ উড়ালপুল। হাওড়া-বর্ধমান মেনলাইনের ওপর দিয়ে উড়ালপুল ২ ভাগ হয়ে গেছে। একটি রাস্তা সোজা জি টি রোডে পড়ছে, অন্যটি অসম লিঙ্ক রোড ধরে কল্যাণীর দিকে যাচ্ছে। ডানকুনি থেকে মগরায় যেখানে দিল্লি রোড শেষ হয়েছে তার ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৩ নম্বর রেলগেট। সেখানেই ভেঙে পড়ে উড়ালপুলের অংশ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিস-প্রশাসনের কর্তারা। রাস্তা সম্প্রসারণের দায়িত্ব রয়েছে গুজরাটের ঠিকাদার সংস্থা ডিআর এ। ঘটনাস্থলে আসেন সংস্থার আধিকারিকও।


রবিবার সকালে উড়ালপুলের একটি পিলারের গায়ে ধাক্কা লাগে একটি জেসিপি গাড়ির। তাতেই ভেঙে পড়ে গার্ডার। কিন্তু কীভাবে এই বিপর্যয়?


আরও পড়ুন জানুন কীভাবে বন্ধুদের পাঠানো হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ থেকে আপনি বিপদে পড়তে পারেন


বিশেষজ্ঞদের মতে, জমাট সিমেন্টের ভারী গার্ডার ক্রেন দিয়ে ওপরে তোলার পর গার্ডারগুলি লক করা হয়। শনিবার গার্ডার তোলা হলেও তা নাট বোল্ট দিয়ে লক করা হয়নি।এর ফলেই হালকা ধাক্কাতেই গার্ডার খসে পড়ে।


পোস্তার উড়ালপুল বিপর্যয়ের ঘটনায় খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটির অভিযোগ উঠেছিল। মগরার ঘটনায় সেধরনের অভিযোগ ওঠেনি। তবে নির্মাণের কাজে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবে হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।