ওয়েব ডেস্ক : রতুয়ায় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত চার। পুলিসের অনুমান ধৃতরা সরাসরি ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত না থাকলেও, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এদিকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রতুয়া থানার OC-কে, তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রতুয়ার CI-কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রতুয়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিসের অনুমান ধৃতরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও দুষ্কৃতীদের মদত দিয়েছিল। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, ক্লাব ঘরে আটকে রেখেই গণধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এবং খুনের ঘটনা চাপা দিতে ক্লাব ঘরের সিড়ির গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে নাবালিকার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে ক্লাবের সদস্যরা ক্লাবের জমির ওপর একটি মার্কেট তৈরি করছিল। তৈরি করা হয়েছে মোট ১৮টি দোকান ঘর। তবে চালু হয়েছে শুধুমাত্র মাত্র তিনটি দোকানঘর। দোকানগুলি গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। খোলা থাকে ক্লাবের সামনে চায়ের দোকানও। বহু সদস্য গভীর রাত পর্যন্ত থাকে ক্লাব ঘরে। ওই ক্লাবের কাছেই নাবালিকার বাড়ি।


আরও পড়়ুন- স্কুলছুট পড়ুয়াদের ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ


ফলে তিনদিন নাবালিকা নিখোঁজের খবর ক্লাবের সদস্যরা জানত না এমনটা হতে পারে না। এবং দেহ উদ্ধার হয়েছে ক্লাবেই। অর্থাত্‍ ক্লাবের সদস্যরা সত্যগোপন করছে বলেই ধারণা পুলিসের। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ অবশ্য বলছেন, রাত ১০টা পর্যন্ত এলাকা জমজমাট থাকলেও ১০টার পর এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।


এদিন ঘটনার তদন্তে যান জেলার পুলিস সুপার। তদন্তের দায়িত্বভার রতুয়ার OC-র হাত থেকে নিয়ে দেওয়া হয়েছে CI-এর হাতে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন। এদিন ঘটনাস্থলে যান সারা ভারত মহিলা সমিতির প্রতিনিধিরা।