ওয়েব ডেস্ক: ১৯৭৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সাবেক গড়বেতা পূর্ব ও গড়বেতা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র ছিল সিপিএমের দখলে। আসন পুনর্বিন্যাসের পর গত বিধানসভা ভোটেও গড়বেতা দখলে রাখে সিপিএম। ২০১১-র পাঁচই জুন গড়বেতার বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে জেলে যেতে হয়। ২০০১-এর চৌঠা জানুয়ারি গড়বেতায় বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে এগারো জন তৃণমূল কর্মীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উনিশশো সাতাশি সাল থেকে গড়বেতার বিধায়ক দাপুটে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। ছোট আঙারিয়ার ঘটনায় দুই সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও সুকুর আলির নাম জড়ানোর পরও তিনবার গড়বেতা থেকে বিধানসভায় গেছেন তিনি। যদিও, গত লোকসভা ভোটের হিসেব বলছে, গড়বেতা আর আগের মত লাল-গড় নেই। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল বাম বিরোধী হাওয়ার মধ্যেও গড়বেতায় পনেরো হাজার ভোটে জেতেন সিপিএমের সুশান্ত ঘোষ।


কিন্তু ২০১৪-র লোকসভা ভোটে গড়বেতা বিধানসভায় বামেদের পিছনে ফেলে আটাত্তর হাজার ভোটে এগিয়ে যায় তৃণমূল। কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত ঘোষ জামিন পেলেও আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর জেলায় ঢোকার অনুমতি নেই। সুশান্ত ঘোষের বদলে এবার গড়বেতা কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন জিএস সরফরাজ খানকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। ঘাসফুলের প্রার্থী আশিস চক্রবর্তী।


এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, খাতায় কলমে বিজেপি প্রার্থী থাকলেও গড়বেতায় লড়াইটা আসলে সিপিএম-তৃণমূলের। গড়বেতার ভোটে শাসক-বিরোধী দু-পক্ষের একই ইস্যু। প্রচারে নেমে সিপিএম-তৃণমূল দু-দলই সন্ত্রাসের অভিযোগে একে অন্যকে কাঠগড়ায় তুলছে। সঙ্গে বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চলছে চাপান-উতোর। বাম প্রার্থীর আশা গড়বেতা এবারও লাল-গড়ই থাকবে। তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, উন্নয়নের ইস্যুতে মানুষ তাঁকেই আর্শীবাদ করবেন। এই চাপান-উতোরের মধ্যেই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তাঁরা শান্তি চান। চান উন্নয়ন। যুযুধান দু-দলের নিজেদের লড়াইয়ে মাথা ঘামিয়ে কী লাভ!