ওয়েব ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে ভানভাসি হয়েছে মালবাজার ব্লকের আরও কয়েকটি গ্রাম। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ব্লকেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারদিকে শুধু জল। ঘর বাড়ি সবই ভেসে গেছে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে। বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় সবকটি ব্লক। জল থই থই মালবাজার মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিপদ বাড়িয়েছে তিস্তা। গাজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজের ২১টি লকগেট খুলে দেওয়ায় জলের তোড়ে ভেসেছে মালবাজার মহকুমার বাসুসুবা, চাপাডাঙা, দক্ষিণ চ্যাংমারি। জলমগ্ন ১৪০০ বাড়ি।


আরও পড়ুন রাজ্যের নাম বদলের নতুন করে উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর


বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসন। বানভাসিদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। ডুয়ার্সের সমস্ত নদী থেকে বন্ধ বালি ও বোল্ডার তোলার কাজ। মাল, চেল, ঘীস, লিস, জলঢাকা নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। চিন্তিত সেচ দফতর। শুক্রবার থেকে টানা প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রশাসনের উদ্ধারকাজ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের।


তিস্তায় দোমোহনী থেকে মেখলিগঞ্জের অসংরক্ষতি এলাকায় লাল সংকেত জারি করেছে প্রশাসন। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ব্লকে। মহানন্দার জলে প্লাবিত বারোটিয়া, ডাইটন, মনোরা গ্রাম। ঘরছাড়া প্রায় ৫ হাজার মানুষ। গোয়ালপোখর গ্রামের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নদীর জলে ভেসেছে ১৫টি গ্রাম। দুর্গতদের উদ্ধারে স্পিড বোড নামিয়েছে প্রশাসন।  খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির।