ওয়েব ডেস্ক : এরাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পের নামডাক এখন বিশ্বজোড়া। মেয়েরা রত্ন। কারোর থেকে পিছিয়ে নয়। শেখানোর ও বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু যা ঘটে গেল হুগলির চাঁপদানিতে, তা যেন একধাক্কায় আমাদের অনেকটা পিছিয়ে দিচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীর জুড়ে দাগ! মারের। তবে যন্ত্রণা তার চেয়েও বেশি বোধহয় মনে। অসহায়তা, রাগ মিলেমিশে এক। হুগলির চাঁপদানির সীমা মালাকার এখন ভর্তি চন্দননগর হাসপাতালে।


আরও পড়ুন- কলকাতা মেডিক্যালে আয়াদের পরিচালনার মূলে রয়েছেন নাকি দুই প্রভাবশালী!


পরপর তিনবার মেয়ে হয় তাঁর। ছেলে হয়নি। এটাই অপরাধ। সেকারণেই তাঁর এমন অবস্থা। পরপর তিন মেয়ে। কেন হবে? কেন একটা ছেলে দিতে পারবে না বাড়ির বউ? এই 'অপরাধ' মানতে পারেনি সীমা মালাকারের শাশুড়ি, ননদরা। কথা শুনতে হত উঠতে-বসতে। মাঝেমধ্যেই চলত মারধর। কিন্তু সব অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে গেল এবার। অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে সীমাকে বাঁশ-লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামী তখন ছিলেন না। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তিন ফুটফুটে মেয়েকেও। সন্তানসহ মায়ের ঠাঁই এখন চন্দননগর হাসপাতালে।


স্বামী মুকেশ মালাকার জানেন সবই। স্ত্রী-মেয়েদের ওপর যে অমানুষিক অত্যাচার চলে, সবটা জেনেবুঝেও তিনি অসহায়। পেশায় হকার মুকেশের ক্ষমতা নেই অন্য কোথাও স্ত্রী-মেয়েদের নিয়ে ভাড়া থাকার। সব অত্যাচার মুখ বুজে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই তাঁর। দাবি মুকেশের। এর আগে পুলিসকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সীমাকে মারধরের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন শাশুড়ি সারদা মালাকার। নিজেকে অসুস্থ দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি তিনিও।