ওয়েব ডেস্ক: উৎসব হবে আর একটু বোমাবাজি হবে না, এমনটা হয় নাকি? ভোটের বাদ্যি বাজতেই আকশে বাতাসে উৎসবের আমেজ। মোড়ে মোড়ে ভোট দিনের ব্যানার, পোস্টার আর হোর্ডিং। বছর বছর ভোট আর মন ভরে বোমাবাজি, এটাই এখন বেঙ্গল ট্র্যাডিশন। আর যারা এই ট্র্যাডিশন ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন, সেই হাত কাটা কাত্তিক, কান কাটা ভোলা, ল্যাংরা লালুদের (নাম, পরিবর্তিত) গোডাউনে যে তিন বোমার চাহিদা সবথেকে বেশি, তা হল-সকেট বোমা, শিশি বোমা আর চিরাচিরত পেটো। ভোট কেন্দ্রের আসে পাশেই এই বোমার ছড়াছড়ি। শাসক থেকে বিরোধী 'বোমাপল্টন'রা ভোটের দিনেই হাতযশ করেন বোমাবাজিতে। কেউ বোমা ছুঁড়তে গিয়ে পা খুইয়েছেন, কেউ বোমা বাঁধতে গিয়ে হারিয়েছেন হাত, তবুও বোমাবাজির প্যাশন ছাড়েননি। এক ঝলকে জেনে নিন বোমার আঁতুড় ঘর থেকে নিয়ে আসা তিন বোমার ঠিকুজি কুষ্টি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকেট বোমা- আকারে শিশি বোমা ও পেটোর থেকে একটু বড়। লোহা বেষ্টিত আবরণ। বোমা ফাটলে আবরণে থাকা লোহাই স্‌প্লিন্টারের কাজ করে। এই বোমা প্রাণঘাতী।



শিশি বোমা- নামেই বোঝা যাচ্ছে, এই বোমা শিশির মধ্যে তৈরি হয়। একেবারে ট্রান্সপ্যারেন্ট। শিশির ভিতরে থাকা বোমার সব নাড়ি-নক্ষত্রই দেখা যায় বাইরে থেকে যদি শিশি হয় সাদা রঙের। এই বোমা ফাটলে কাঁচের শিশি স্‌প্লিন্টারের কাজ করে।



পেটো বোমা- চিরাচরিত বোমা। বলা হয় নকশাল আমলে বাংলায় ক্লাস রূমে বইয়ের পাঠ কম হত, বেশি হত পেটো তৈরির ক্লাস। পেরেক সহ বোমার সব উপকরণ একসঙ্গে সুতলি দিয়ে বেঁধে তৈরি হয় এই বোমা।