ওয়েব ডেস্ক: পৌছে গেছে পাত্র। চলছে বিয়ের আয়োজন। হঠাত্‍ হানা পুলিসের। তাদের দাবি, বিয়ে হচ্ছে নাবালিকার। অতএব বিয়ে বন্ধ করতে হবে। মেয়ের বাবা দেখালেন পাত্রীর বয়সের শংসাপত্র। তবু মানতে নারাজ পুলিস। এরপর গ্রামবাসী-পুলিস বচসা, খণ্ডযুদ্ধ, লাঠিচার্জ। আলিপুর দুয়ারের মাদারিহাটে শেষ পর্যন্ত বিয়েটা কী হল?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বাসিন্দা কার্তিক দাস পেশায় দিনমজুর। মেয়ের বিয়ের জন্য যথাসাধ্য আয়োজন করেছিলেন তিনি।  পাত্র ফালাকাটা থানার সিভিক পুলিসকর্মী প্রসেনজিত্‍ দাস। রবিবার সন্ধ্যেয় বিয়ের আসরে সবকিছুই চলছিল ঠিকমত। সময়মত পৌছে গিয়েছিল পাত্রপক্ষও। কিন্তু হঠাতই ছন্দপতন। ঘটনাস্থলে হাজির হয়  মাদারিহাট থানার কয়েকজন পুলিসকর্মী। তাঁদের অভিযোগ, নাবালিকা পাত্রীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতএব  বিয়ে বন্ধ করতে হবে।  ওই পুলিসকর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত মেয়ের বয়সের শংসাপত্র দেখান কার্তিক দাস। কিন্তু তাতেও পুলিস মানতে চায়নি।


এরপরেই  পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় গ্রামবাসীদের।  বচসা থেকে খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ভাঙচুর করেন পুলিসের জিপ। পুলিস পাল্টা লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। পরে অবশ্য পিছু হঠে পুলিস। শেষ পর্যন্ত কোনওক্রমে  সম্পন্ন হয় বিয়ে। তবে না খেয়েই চলে যেতে হয় অনেক নিমন্ত্রিতকে। এঘটনায় অভিযুক্ত পুলিসকর্মীদের শাস্তি দাবি করেছেন পাত্রী। যদিও এতকিছুর পরও অবশ্য থানায় অভিযোগ জানাননি কার্তিক দাস। মেয়ের বিয়ে বন্ধ হতে বসার আতঙ্ক এখনও স্পষ্ট তাঁর চোখে মুখে।