ওয়েব ডেস্ক:অমৃতসর এক্সপ্রেসে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। এখনও অধরা দুই মূল অভিযুক্ত। ধৃত মঞ্জরিশ ত্রিপাঠিকে জেরা করে একাধিক নয়া তথ্য। সেনা কামরার রিজার্ভেশন চার্ট খতিয়ে দেখে ফেরার দুই অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাসি। মূল দুই অভিযুক্তের ছবি থাকা সত্ত্বেও তাদের এখনও ধরা গেল না, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ঘটনা দিন অমৃতসর এক্সপ্রেসের অন্য যাত্রীদের সাক্ষ্যের ওপরও জোর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাকর্তাদের সঙ্গে। এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশ্বাস দিয়েছে সেনা কর্তপক্ষ।  তদন্তে রেল পুলিসকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমৃতসর এক্সপ্রেসে নির্যাতিতার প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষায় নাবালিকার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। গতকালই এই মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। আজ মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করা নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট এসে পৌছবে। গতকালই বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা। তাঁর বাড়ির লোকজনে অভিযোগ, ট্রেনে শুধু নির্যাতনই না, জানালে মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।


হাওড়া-অমৃতসর এক্সপ্রেসে কিশোরীকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত মঞ্জরীশ ত্রিপাঠির ৪দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ। কিন্তু, এখনও অধরা অভিযুক্ত আরও দুই জওয়ান।  সেনাবগিতে করা ভিডিওগ্রাফি থেকে ওই দুজনকে চিহ্নিত করেছে নির্যাতিতা। আজ সকালে নির্যাতিতা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত মঞ্জরীশ ত্রিপাঠিকে মধুপুর থেকে  হাওড়া GRP-তে নিয়ে আসা হয়।  হাওড়া GRP আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত সেনা জওয়ানদের বেশকয়েকজন সহকর্মী।


বেপাত্তা দুই জওয়ান সম্পর্কে GRP কে বিস্তারিত তথ্য দেন তাঁরা।  পলাতক দুই জওয়ানের হদিশ পেতে হাওড়া স্টেশনের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। তারা কোথায় ট্রেন থেকে নেমেছে তা জানতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে মধুপুর ও লাগোয়া স্টেশনগুলির CCTV ফুটেজও।  ধৃত মঞ্জরীশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পকসো অ্যাক্টের চার ও আট নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে হাওড়া GRP। অন্যদিকে, হাওড়ায় নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। হাওড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন নির্যাতিতা।