প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত রফা। পাড়ুইয়ের সাগর ঘোষ হত্যা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার হয়ে গেল। আজ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিলেন নিহত সাগর ঘোষের ছেলে হৃদয় ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাড়ুইয়ে সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা  অনুব্রত মণ্ডল এবং বিকাশ রায়চৌধুরীর। এরপর থেকে লাগাতার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন তাঁর পরিবার। প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত রফা করলেন হৃদয়। সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের সব চেয়ে চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিলেন, তিনি আর মামলা চালাতে চান না। সূত্রের খবর, হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের তৈরি করে দেওয়া ডিজির নেতৃত্বে সিটের তদন্তে তিনি খুশি। সুবিচার পাবেন বলেই আশা রাখছেন।


২১ জুলাই ২০১৩


পঞ্চায়েত ভোটে পাড়ুইয়ে নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাড়িতে হামলা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত হন হৃদয়ের বাবা সাগর ঘোষ। দুদিন পর মৃত্যু হয়।


এরপর খুনের মামলায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হৃদয় ঘোষ।  


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪


খুনের মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিসের ডিজির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।


সিটের তদন্তেও খুশি হতে পারেননি হৃদয় ঘোষ। তিনি সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাতেই থাকেন।


২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


সাগর ঘোষ হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।


৩ ডিসেম্বর, ২০১৪


সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয় জয়ন্ত বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।


আর এরপরই সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন হৃদয় ঘোষ। সিউড়ি আদালতে সাগর ঘোষের খুনের মামলায় যে চার্জশিট জমা পড়েছে, তাতে নাম নেই বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির দুই নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং বিকাশ রায়চৌধুরীর। সিবিআই তদন্ত হলে এই দুটি নাম বাদ নাও যেতে পারত। কিন্তু সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেই সম্ভাবনাটাও কমে গেল। ফৌজদারি আইনজ্ঞদের মতে, এবার যদি মূল মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বিরূপও হন, তাতেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। অর্থাত্, মূল মামলার পরিণতিও চলে গেল প্রশ্নের মুখে।