ওয়েব ডেস্ক: নদীতেই মাথা চাড়া দিচ্ছে পাকা বাড়ি। নাঃ, নয়া কোনও আবিষ্কারের গল্প নয়। এ খেলা প্রকৃতি ধ্বংসকারী কিছু অসাধু মানুষজনের। কারা তারা? বলতে পারছে না প্রশাসনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দুদিকে জঙ্গল। বর্ষায় পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে আসে জল। সেই জল থেকেই জন্ম এ নদীটির। স্থানীয়রা নাম দেন গন্ধেশ্বরী। নানা বাঁক নিতে নিতে জঙ্গলের নদী ঢুকে পড়ে নাগরিক জীবনে। তারপর বাঁকুড়ার দৈনন্দিন কাজে বিশাল ভূমিকা নেয় গন্ধেশ্বরী।


বর্ষার মাস, বর্ষার পর আরও কয়েকটা মাস। গন্ধেশ্বরীতে জল থাকে। বাকি সময়টা শুকনো। গত কয়েক বছর ধরে এমনই দশা গন্ধেশ্বরীর। আর সেই সুযোগে এ নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক অবৈধ নির্মাণ। অনেক ক্ষেত্র সেটাও আবার নদীর অংশ চুরি করেই।


বড়সড় চুরি নজরে এসেছে হালফিলে। বিধানসভার ফল ঘোষণার পর বাঁকুড়ার ন নম্বর ওয়ার্ডের মিশ্রপাড়ায় নদীর খাতেই দেওয়া হয়েছে ছয় ফুট উঁচু গাঁথনি। নদী খাতে গাঁথনি কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি গড়ে তুলতেই এমন গাঁথনি দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ক্ষুব্ধ গন্ধেশ্বরী বাঁচাও কমিটি।


এই বেআইনি নির্মাণের পিছনে কারা? সেচ দফতর থেকে বাঁকুড়া পুরসভা, কেউই এখনও পর্যন্ত চিহ্নিতই করতে পারেনি কীর্তিমানদের। তবে নানা জায়গা থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার নিউ আলিপুরের দুই বাসিন্দাকে চিঠি পাঠিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। উত্তর আসেনি। নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য মহকুমাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু না হলে এবার অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলবে পুরসভাই।


নদীর পাশে আখছাড় গজিয়ে উঠছে অবৈধ নির্মাণ। কেন সে সমস্ত নির্মাণ বন্ধে এগিয়ে আসে না পুরসভা?


এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে?


কোন সাহসে নদীর খাতে পাকা বাড়ি তোলার সাহস দেখাল নির্মাণকারীরা? এ প্রশ্নগুলি কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।