কলকাতার কাছেই মিলল বিশাল অস্ত্র তৈরির কারখানা, গ্রেফতার ৫
কলকাতার অদূরেই এবার মিলল বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ। মহেশতলার রবীন্দ্রনগরে। অস্ত্রডেরায় হানা দিয়ে মিলল শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সঙ্গে প্রায় ন`কেজি বিস্ফোরকও। কারখানার মালিক সহ গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী। ধৃতদের জঙ্গি-যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওয়ান শাটার, পাইপগান ও পিস্তল। সবসমেত সংখ্যাটা ১০১।
ওয়েব ডেস্ক : কলকাতার অদূরেই এবার মিলল বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ। মহেশতলার রবীন্দ্রনগরে। অস্ত্রডেরায় হানা দিয়ে মিলল শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সঙ্গে প্রায় ন'কেজি বিস্ফোরকও। কারখানার মালিক সহ গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী। ধৃতদের জঙ্গি-যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওয়ান শাটার, পাইপগান ও পিস্তল। সবসমেত সংখ্যাটা ১০১।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে সবটাই তৈরি এরাজ্যে। কলকাতা থেকে খুব একটা দূরেও নয়।....বিহার থেকে এরাজ্যে এসে, রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে একটি আস্ত অস্ত্র কারখানা। চলল রমরমিয়ে। পর্দাফাঁস হতে লেগে গেল গোটা একটি বছর। অস্ত্রগুলির পাশাপাশি পাশাপাশি মিলেছে ৫৪টি কার্তুজ। শুধু আগ্নেয়াস্ত্রেই শেষ নয়, পুলিস উদ্ধার করেছে প্রায় ন'কেজি বিস্ফোরকও।
মহেশতলার আট নম্বর ওয়ার্ডের। রবীন্দ্রনগর এলাকা। এখানেই বাড়ির মধ্যে তৈরি হত অস্ত্রগুলি। এরপর পাচার। বাড়ির মালিক আফতাব হুসেন সহ তার চার সঙ্গী এখন পুলিসের হাতে। আফতাব হুসেন বছরখানেক ধরে মহেশতলায় রবীন্দ্রনগরের বাড়িতে থাকত। গত একবছর ধরেই অস্ত্র কারখানাটিও চলছিল বলে মনে করছে পুলিস। এখান থেকে মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচে অস্ত্র পাচার হত। কলকাতা ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও অস্ত্র পাচার করত ধৃতেরা। রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে বিহারেও পাচার হত অস্ত্রসম্ভার। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ
বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম কিনে এনে, সব জড়ো করা হত রবীন্দ্রনগরের এই কারখানায়। এরপর তা থেকে তৈরি হত অস্ত্র। ধৃত আফতাব হুসেন মূলত ভাগলপুরের বাসিন্দা। সেখান থেকে এরাজ্যে এসে অস্ত্র কারখানা শুরু করে সে। অস্ত্র তৈরির পর তা পাচারের কাজটি মূলত ছিল মহম্মদ সেলিমের ওপর। বিহারেরই মুঙ্গেরের বাসিন্দা সে। এছাড়াও অস্ত্র কারখানায় কাজ করত তিন জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে দু জন বিহারের মুঙ্গেরের এবং একজন এরাজ্যেরই বাসন্তীর বাসিন্দা। ধরা পড়েছে এরা সকলেই। স্বীকার না করলেও, একেবারে উড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে না জঙ্গি-যোগ। ধৃতদের অস্ত্র পাচার-রুটে বাংলাদেশও ছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিস।