ওয়েব ডেস্ক: শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদ করেই আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ১১ মাসের মেয়েকেও রেয়াত করেনি বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত নেতার দাবি, আক্রান্ত গোপীনাথ হালদার সমাজ বিরোধী। দলের কেউ নন। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দুপক্ষই। ভয়াবহ সেই ঘটনার কথা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না বছর ৩০-র এই মহিলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বিরাটির শ্রীনগরে বাড়ি থেকে উদ্ধার মাঝবয়সী মহিলার রক্তাক্ত দেহ


রবিবার সন্ধে নাগাদ বাড়িতে চড়াও হয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর শুরু করে তারা। স্বামীকে বাঁচাতে এলে আক্রান্ত হন তিনিও। ছাড় পায়নি ১১ মাসের শিশু কন্যাও। তাকে ছুঁড়ে ফেলার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।


শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পুকুর বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ। তার প্রতিবাদ করাতেই আক্রমণ গোপীনাথ হালদারের ওপর। মারের চোটে কোমর ভেঙে যায় তাঁর। চোখেও গুরুতর আঘাত পান। গুরুতর আহত গোপীনাথ হালদারকে MR বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। যদিও তিনিও এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত।


আরও পড়ুন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগে অবরোধ কাঁথির বাসন্তিয়া হাইস্কুলে


সোনারপুরের খেয়াদহ দু-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনপাড়ায় এই ঘটনায় সামনে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই প্রবীর সরকার কিন্তু গোটা ঘটনাকে চক্রান্ত বলেই ওড়াচ্ছেন। উল্টে গোপীনাথ হালদারকেই সমাজবিরোধী বলছেন তিনি। রবিবার রাতের ঘটনায় গোপীনাথের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে প্রবীর সরকার শিবিরও।