ওয়েব ডেস্ক: মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি খেলেন মা। ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম বাবাও। গতকাল মাঝরাতে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের কিশোরী কন্যার ওপর চড়াও হয় দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার পিয়ালিতে। তবে কী কারণে এই হামলা? উত্তর খুঁজছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গভীর রাত। ঘড়ির কাঁটা আড়াইটে ছুঁই ছুঁই। ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার পিয়ালি এলাকায় দরমার বেড়া ভেঙে ঘরে ঢোকে দুই যুবক। মুখে কালো কাপড়। হাতে দেশি রিভলবার, সঙ্গে ভোজালি। বাড়িতে ঢোকার বহু আগে আলো নিভিয়ে দেয় তারা। (শৌচাগারে দীর্ঘক্ষণ লুকিয়ে ছিল। এরপর সুযোগ পেয়েই কিশোরীর ওপর চড়াও হয়।)


কিশোরীর মুখ চেপে ধরে। গোঙানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন বাবা-মা। মায়ের হাতে দা দেখেও ভয় পায়নি দুই যুবক। মেয়েকে ফেলে মা,বাবার উপর চড়াও হয় দুজন। বেগতিক বুঝে গুলি চালায় এক যুবক। মায়ের পেটে গুলি লাগে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কোপাতে শুরু করে ওই যুবকরা।  মহামায়াতলার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় মাকে। গভীর রাতে এধরনের হামলায় সন্ত্রস্ত প্রতিবেশীরাও।


তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে ওই কিশোরীকে মাঝেমধ্যেই উত্যক্ত করত মূল অভিযুক্ত সোমনাথ সর্দার।কিশোরীর সঙ্গে এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্কও ছিল। সোমনাথ সর্দারও কিশোরীর পরিচিত। জেরায় সোমনাথ স্বীকার করেছে আক্রোশ থেকেই কিশোরীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সে।তাহলে কি ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই ঘটনা?খতিয়ে দেখছে পুলিস।


কিন্তু ঠিক কী কারণে মাঝরাতে অস্ত্র নিয়ে হানা দিল সোমনাথ ও তাঁর সঙ্গী, তা স্পষ্ট নয় পুলিসের কাছে। শ্লীলতাহানি, খুন, ধর্ষণ না কি অন্য কোনও কারণ তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। সোমনাথ সর্দারের সঙ্গে যে ছিল সেও এলাকারই ছেলে। কিশোরীর সঙ্গে যে যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃত সোমনাথ ও তার সঙ্গীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।