ওয়েব ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া। আদৌ বন্ধুত্ব-সম্পর্কের হাতছানি? নাকি প্রতারণার জাল? মৃত্যুর ফাঁদ? যেভাবে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ, তাতে এ প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড়। বন্ধুত্বের আড়ালেই লুকিয়ে ঘাতকের দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেসবুক। অচেনা মুখ। অচেনা মানুষ। সেখান থেকেই শুরু হয় বন্ধুত্বের পথচলা। কখনও কখনও সেই সম্পর্কই ক্রমশ কাছে আসে। গড়ে ওঠে নিবিড় সম্পর্ক। ভার্চুয়াল সম্পর্ক থেকে তৈরি হয় ভালবাসার সম্পর্ক। ফেসবুকের এই ভার্চুয়াল জগতের মধ্যেই অনেকে ফাঁদ পাতে। প্রতারণার ফাঁদ।


ভোপালে আকাঙ্ক্ষার নৃশংস খুনের পথও শুরু হয় ফেসবুক-প্রেমপর্ব থেকেই। ফেসবুকেই ঘনিষ্টতা। প্রেম থেকে বিয়ে। তারপর নৃশংস খুন। কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্কের কেন এই মর্মান্তিক পরিনতি?


সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমান যুগে, বর্তমান প্রজন্মের সামনে এক ভয়ঙ্কর বিপদ। না বুঝেই যে পথে পা বাড়িয়ে, জীবন পর্যন্ত খোয়াতে হচ্ছে অনেককেই। এমনটাই বলছেন,সমাজতত্ত্ববিদ শুচিস্মিতা রায়।


শুধু আকাঙ্খাই নয়। এমন অনেক আকাঙ্খাই শেষ হয়ে যায় ফেসবুকের ফাঁদপাতা ভূবনে। ভালোবাসা,ঘর গড়ার স্বপ্ন সব শেষ।


গত কয়েকমাসেই সামনে এসেছে ফেস বুকে গড়ে ওঠা নানা সম্পর্কের মর্মান্তিক পরিনতি।


২৬ জানুয়ারি। কলকাতার এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় ব্যান্ডেলে, জলার ধারে। অভিযোগ ওঠে ফেসবুক বন্ধুদের দিকেই। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি। ফেসবুকে একটি ছবি দেওয়া ঘিরে লজ্জা-বদনামের ভয়ে আত্মঘাতী হয় ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। জীবন শুরুর আগেই শেষ।


স্কুল শিক্ষকের লাগাতার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র সম্প্রীত। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে সে স্ট্যাটাস দিয়ে যায়, গুডবাই। অথচ মনের যন্ত্রণা মুখে কাউকে বলতে পারলে হয়ত এ পরিণতি হত না। প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য ফেসবুকে পোস্ট করে, কিছুদিন আগে আত্মঘাতী হয় বহরমপুরের এক কিশোরীও। গতরাতে বেহালায় রবীন্দ্রনগরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার পিছনেও ফেসবুক প্রেম ও তাতে জটিতলার ছায়া। এছাড়া তো রয়েইছে অজস্র আর্থিক প্রতারণা। রাজ্যজুড়ে বাড়বাড়ন্ত।