ওয়েব ডেস্ক: কল্যাণীর কাছে হুগলি নদীর ওপর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর মাঝখানের একটি অংশ আচমকা বসে গিয়ে বিপত্তি। হুগলি, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, এই তিন জেলার সংযোগকারী এই সেতু। সেতুর দুদিকের যান চলাচলই বন্ধ। সকালে ব্রিজের কর্মীরাই প্রথম দেখতে পান। ঘটনার তদন্তে পূর্ত দফতর। এদিকে সেতু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদিয়া থেকে হুগলি যেতে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরতে হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন ঈশ্বর গুপ্ত সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী বহু মানুষ। হুগলি এবং নদিয়ার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই সেতুর মাঝখানের একটি অংশে ভাঙন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে দেখা যায় হুগলির দিকে সেতুর অংশটি বসে গেছে। হুগলি থেকে সরাসরি নদিয়ায় পৌছতে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারে হাজারে  ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। শনিবার সকালের পর থেকে সব বন্ধ। 


হুগলি নদীর ওপর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর একদিকে মগরা অন্যদিকে কল্যাণী। হুগলি, নদিয়াতো বটেই বর্ধমান, উত্তর চব্বিশ পরগনার একাংশের যোগাযোগের ভরসা এই সেতু। সেতু বন্ধ থাকায় যেতে হচ্ছে বহু পথ ঘুরে। ঈশ্বরগুপ্ত সেতু বসে যাওয়ায় বাস, ট্রাক কে ঘুরে যেতে হচ্ছে বালি সেতু অর্থাত্‍ নিবেদিতা সেতু দিয়ে কিম্বা নবদ্বীপের কাছে গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে। দুক্ষেত্রেই দূরত্ব কমকরে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার। দূরত্বতো বটেই, রয়েছে যানজটের সমস্যা। সেতু বন্ধ হওয়ায় বিপদের মুখে যাত্রীরা।


সেতু কিন্তু বেশি পুরনো নয়। বাম আমলে, ঊনিশশো ঊননব্বই সালে সেতুর উদ্বোধন করেন তত্‍কালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেতু রক্ষণাবেক্ষণও নাকি যথাযথ হয়। তবুও এই অবস্থা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ত দপ্তর। এদিকে সেতু মেরামতি করতে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ শুরু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ররা খতিয়ে দেখছে সেতুর কোন কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। সেতু বন্ধ থাকায় বাসযাত্রীদের অনেকেই হেঁটে সেতু পার হচ্ছেন। বাস ও ট্রাককে ঘোরানো হচ্ছে অন্য পথে।