জলেই গেল পুরুলিয়ার `জল ধরো জল ভরো`
মাস খানেকেই কাত। পুরুলিয়ায় পাঁচ কোটি টাকা প্রকল্পের ছ- ছটি চেক ড্যাম প্রথম বর্ষাতেই ভেঙে গেল। মুখ থুবড়ে পড়ল খরা প্রবণ পুরুলিয়ার জল ধরো জল ভরো প্রকল্প।
ওয়েব ডেস্ক: মাস খানেকেই কাত। পুরুলিয়ায় পাঁচ কোটি টাকা প্রকল্পের ছ- ছটি চেক ড্যাম প্রথম বর্ষাতেই ভেঙে গেল। মুখ থুবড়ে পড়ল খরা প্রবণ পুরুলিয়ার জল ধরো জল ভরো প্রকল্প।
শীত পেরোতে না পেরোতেই জলে টান ধরে পুরুলিয়ায়। জল নিয়ে বছরভর অনটনেই কাটায় পুরুলিয়ার বাসিন্দারা। জলের কারণেই পুরুলিয়ার অধিকাংশ জমি নিস্ফলা। টাঁড়। অথচ এই পুরুলিয়ার বেশ কিছু জমিতে--যেখানে জল পৌছানো গেছে, ফসল হয় সত্যিই দেখার মত। সবজি চাষে তো কথাই নেই।---শুখা থেকে খানিকটা মুক্তি পেতে জলধর জলভর প্রকল্পে পুরুলিয়ায় ষোলটি চেক ড্যাম নির্মাণের কাজে হাত দেয় প্রশাসন। টেন্ডার হয়। কাজ শুরু হয়-শেষ হয়। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই ছ-ছটি চেক ড্যাম ভেঙে গেছে। জল ধরা দূরে থাক --চেক ড্যামে খানিক বাধা পাওয়া জল ,ভাসিয়েছে বিস্তর জমি।
আরও পড়ুন- বিষ্ণুপুরে তরুণীর আত্মহত্যার আসল কারণ কী! ফেসবুক পোস্ট?কী বলছে পুলিস
গুজরাট ও রাজস্থানের জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের সাফল্যের কথা মাথায় রেখে খরাক্লিষ্ট পুরুলিয়ায় ষোলটি চেক ড্যামের কাজ শুরু হয়। বান্দোয়ান, বলরামপুর, পুরুলিয়া দুই নম্বর ব্লক, রঘুনাথপুর সহ গোটা পুরুলিয়া চলতি আর্থিক বর্ষেই চেক ড্যাম তৈরি করা হয়। ড্যাম গুলিতে জল জমা হলে রবি মরসুমে প্রায় তিনশ চারশ বিঘা জমিতে চাষ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু টিকল না। অভিযোগ, নির্মাণ পদ্ধতিতেই ত্রুটি ছিল, এছাড়া অতিরিক্ত লাভের আশায় সিমেন্ট বালির হিসেবেও ছিল যথেষ্ট গরমিল। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাত স্বীকার করেছেন নির্মাণে গাফিলতি ছিল। নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।