ওয়েব ডেস্ক: বিনা পয়সায় নয়। রীতিমতো মোটা টাকা কমিশন নিয়ে চন্দনাকে শিশু পাচারে সাহায্য করত জুহি চৌধুরী। তদন্তে নেমে নিশ্চিত CID। বিমলা শিশু গৃহ থেকে  বিদেশে শিশু পাচারের ক্ষেত্রেও বড়সড় ভূমিকা ছিল বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীর। জুহির খোঁজে দুইবঙ্গ জুড়ে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হোমের আড়ালে শিশু পাচারের রমরমা কারবার। আর সেকাজে চন্দনা চক্রবর্তীর শাগরেদ জুহি চৌধুরী। বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সরাসরি


যুক্ত ছিলেন শিশু পাচার চক্রে। তদন্তে দাবি CID-র। নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালাতে চন্দনা চক্রবর্তীর দরকার ছিল রাজনৈতিশ আশ্রয়ের। জুহি চৌধুরী চন্দনাকে ঠিক সেটাই দিতেন। রাজনৈতিক মহলে নিজের যোগাযোগ কাজে লাগাতেন জুহি। চন্দনাকে বলতেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। চন্দনাকে আশ্বাস দেন, হোম চালাতে কোনওরকম প্রশাসনিক সমস্যা হলে তিনি সামলে দেবেন। কিন্তু, রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পরিবর্তে কী চাইতেন জুহি? কেন চন্দনাকে সাহায্য করতেন?


বিনা স্বার্থে অবশ্য এসব করতেন না জুহি। CID – দাবি চন্দনার কাছে রিসর্ট চায় জুহি । রাজিও হন চন্দনা। আর ছিল কমিশন। প্রতি শিশু পিছু মোটা কমিশন দাবি করে জুহি চৌধুরী। চন্দনার হোমে প্রতি শিশুর দর শুরু হত ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইতালিতে ৫০ লক্ষ টাকাতেও শিশু বিক্রি করেছে চন্দনা। প্রতি শিশু বিক্রির পর মোটা টাকার কমিশন ঢুকত জুহির পকেটে।


শুধু কমিশনেই থামেনি জুহি। CID-র দাবি.. চন্দনার সঙ্গে মিলে শিশু পাচারের ব্লুপ্রিন্টও ফাইনাল করত বিজেপি নেত্রী। জুহি চৌধুরী নিজে বহু বিদেশি খদ্দের চন্দনার হোমে নিয়ে যেত। দরাদরিতে পোষালে বিমলা শিশুগৃহ থেকে দত্তক নিতেন তাঁরা। প্রতিক্ষেত্রে শিশুপিছু মোটা কমিশন আদায় করত জুহি।


অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জুহির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে CID।  কিন্তু, এই চক্র ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা জুহি। আমরা তার জলপাইগুড়ির বাড়িতে পৌছেও দেখা পায়নি। জুহির খোঁজে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশকয়েকটি জায়গায় তল্লাসি করেছে পুলিস। জুহি যাতে কোনওভাবেই বিদেশে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থাও করেছে CID। সতর্ক করা হয়েছে সবকটি বিমানবন্দরকে।