ওয়েব ডেস্ক:  জামাই ষষ্ঠীর পাতে ইলিশ এবার বলতে গেলে অধরাই। বাংলাদেশ সরকার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখায় পদ্মার ইলিশ আসছে না। রাজ্যের মত্‍স্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত নদীতে কোনও মাছই ধরা যাবে না। অতএব ইলিশেও নাস্তি। ষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে ভরসা বলতে কোল্ড স্টোরেজে থাকা মায়ানমারের ইলিশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইলিশ বড় আদরের নাম। বিশেষ করে বাঙালির কাছে! গোলাপ যতটা সুন্দর, ততটাই সুন্দর ইলিশ। আর জামাইদের কাছে ইলিশ তো সপনো কা রানি। শাশুড়ির স্নেহমাখা হাতে জলের রুপোলি শস্যের মায়াটানে ডুব দেওয়া, তার জন্য ভাগ্য লাগে বইকি! কিন্তু এবার জামাই ষষ্ঠীতে যেন হা-ইলিশ, হা-ইলিশ রব। দশই জুন বাত্‍সরিক জামাই বরণের দিন। অথচ জামাই বাবাজির পাতে ইলিশ পড়া নিয়েই ঘোর সংশয়।


বাংলাদেশ সরকার এদেশে ইলিশ রফতানি বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এখনও তা জারি রেখেছে। তার ফলে পদ্মার উজ্জ্বল রুপোলি শস্য এবার পাতে পড়া তো দূরের কথা, চোখে দেখা যায় কিনা সন্দেহ। সংশয় এপারেও। মত্স্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত সময়টা নদীতে মাছের প্রজনের সময়। বিশেষ করে ইলিশ যেহেতু নদীর মোহনায় থাকে, তাই সতর্কতাটা আরও বেশি। বড় বড় জাল ফেললে ইলিশের ডিম তো নষ্ট হয়ই। উঠে আসে খোকা ইলিশ, যা ধরা একেবারেই বেআইনি। নদীতে মাছ ধরা পুরোপুরি নিষেধ এই তিন মাস।


আষাঢ়ের পয়লা তারিখে মিলবে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার অনুমতি। জল থেকে রুপোলি শস্য তুলে আনতে সেজে উঠছে ট্রলার। তৈরি হচ্ছেন মত্স্যজীবীরা। কিন্তু তাঁদের আক্ষেপ ততদিনে পেরিয়ে যাবে জামাই ষষ্ঠী। অগত্যা জামাই বরণে ভরসা ব্রহ্মদেশ। মায়ানমার থেকে যেটুকু ইলিশ এসেছে, তা দিয়েই জামাই বরণ করতে হবে শাশুড়িদের। ব্যবসার কথা ভেবে মন খারাপ  মত্স্যজীবীদেরও। আষাঢ়ের কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকা জল থেকে রুপোলি রেখা হয়তো ঝলকে উঠবে, কিন্তু আদরের জামাই তো আদুরে রানির স্বাদ পাবে না!