ভারতের মাটি ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে খুনের ছক কষছিল জেএমবি। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের এই দাবি মানতে নারাজ এনআইএ। ৩১ মার্চ খাগড়াগড়কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে খাগড়াগড়কাণ্ডে ঘুরপথে সারদা টাকা ব্যবহারের অভিযোগ নিয়েও কোনও তথ্য থাকছে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ অক্টোবর ২০১৪


অষ্টমীর দিন দুপুরে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি নেটওয়ার্কের  জাল। জেলা পুলিস সিআইডি হয়ে তদন্তভার  হাতে যায় এনআইএ-র। ৩১ মার্চ খাগড়াগড়কাণ্ডের প্রথম চার্জশিট জমা দিতে চলেছে এনআইএ।


চার্জিশিটে  মূল অভিযুক্ত হিসাবে ২৮জনের নাম থাকছে। তারমধ্যে১৮জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনও ফেরার ১০ জন, যার মধ্যে ৩জন জেএমবির প্রথম সারির নেতা। বিস্ফোরণের ৫ মাস পর চার্জশিট দিলেও, জেএমবি-র প্রধান সাজিদ ছাড়া মূল চক্রীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি NIA। ধরা পড়েনি,বোমামিজান, তারিকুল ইসলাম, বোরহান, ইউসুফ শেখ সহ একাধিক বড় মাথা। তবে, চার্জশিটে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, খাগড়াগড়ের মাটি ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে খুনের ছক কষছিল জেএমবি। কিন্তু চার্জশিটে তেমন কোনও তথ্য থাকছে না। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে ঘুরপথে সারদার টাকা ব্যবহার হয়েছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছিল। চার্জশিটে এই সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই। খাগড়াকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মুফাজ্জল শেখ ওরফে লাদেন এই মামলা সরকার পক্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে পারে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, বিস্ফোরক আইন সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।