ওয়েব ডেস্ক: বরাবরের মতো এ বারও কালীপুজোর দিন তারাপীঠে ভক্তদের ঢল। সিদ্ধপীঠে মায়ের পুজো দিয়ে মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার আশায় লাখো মানুষের সমাগম।  তারা মায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। মন্দিরে পুজো করতেন আর শ্মশানে সাধনা। রামকৃষ্ণের যেমন দক্ষিণেশ্বর তেমনই বামাক্ষ্যাপার তারাপীঠ। বছরভর ভক্তরা আসেন এই সিদ্ধপীঠে। মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার বাসনায়। তবে, কালীপুজোর দিনটার তাত্‍পর্য একেবারেই অন্যরকম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তন্ত্রপীঠ তারাপীঠে তারা অঙ্গে কালীর আরাধনা। ভোরে মা-কে স্নান করিয়ে পুজো শুরু। ছোলা, মুড়কি, ফল, সরবত দিয়ে নিবেদন করা হয় শীতল ভোগ। মা-কে রাজবেশে সাজানোর পর মঙ্গলারতি।


আরও পড়ুন কালীপুজো মানেই জুয়ার আসর, তাই জানতে পারলেই খবর দিন পুলিসে


দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য গর্ভগৃহ বন্ধ থাকলেও মন্দির চত্ত্বরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এ বার পোলাও, খিচুড়ি, সাদা অন্ন, পাঁচরকম ভাজা, তিন রকম তরকারি, পায়েস, মাছ, বলির মাংস দিয়ে হয় মায়ের ভোগ। দিনভোর ভক্তদের আনাগোনা চললেও সন্ধারতির সময় উপচে পড়ে ভিড়।


সন্ধেয় মা-কে বেনারসি শাড়িতে রাজবেশে সাজানো হয়। লুচি, সুজি, আলুভাজা,পাঁচরকম ফল, পাঁচরকম মিষ্টি, ক্ষীর ভোগ দেওয়া হয়। প্রসাদ গ্রহণ করেন ভক্তরা। তারপর তন্ত্রমতে মায়ের নিশিপুজো। প্রধান এই পুজোয় লাগে শোল মাছ, ছাগ মাংস এবং কারণবারি। শ্মশানে যজ্ঞ করেন তন্ত্রসাধকরা।


বরাবরের মতো এ বারও কালীপুজোর দিন দূরদুরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় করেন তারাপীঠে। কালীপুজো উপলক্ষ্যে মন্দিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।


আরও পড়ুন ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত কালীতীর্থে দিনভর শক্তির আরাধনা