বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনারই মান্যতা পেল কামদুনির নির্যাতিতার ওপর অত্যাচার। তাঁর রায়ে , অপরাধীদের কড়া বার্তা দিলেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার। তিনি বলেন, মেয়েদের উপর  ক্রমবর্ধমান অপরাধের প্রবণতাকে যদি অঙ্কুরেই বিনাশ না করা যায় , শুরুতেই যদি অপরাধকে আটকানো না যায়, তা হলে সমাজে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে এই বিষ। তাই এই প্রবণতাকে রুখতেই  সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশেষে বিচার। তিন অভিযুক্তের ফাঁসি, তিন অভিযুক্তের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা বিচারকের। কামদুনির সাজা শোনার অপেক্ষায় তখন প্রহর গুনেছে বাংলা। কোর্ট চত্ত্বরেও ছিল কড়া নিরাপত্তা। অবশেষে দুপুর সাড়ে তিনটেয় অভিযুক্তদের সাজা পড়ে শোনালেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার।
কী ছিল তাঁর রায়ে?


রায়ের বয়ান


বিচারক সঞ্চিতা সরকার বলেন, নির্যাতিতাকে বশে আনতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে অপরাধীরা। ব্যক্তিগত কারণে নয়, এলাকার লোকেদের সন্ত্রস্ত্র করতেই এই অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছে। এখান থেকেই এই অপরাধের সমাজবিরোধী চরিত্র স্পষ্ট। নির্যাতিতার গোপনাঙ্গের আঘাত এমনই যা হস্তমৈথুন থেকে হতে পারে না। যদিও তেমনটাই দাবি করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। উল্টে আঘাতের তীব্রতা থেকেই স্পষ্ট, নির্যাতিতা সঙ্গে জোর জবরদস্তি করে নৃশংস ভাবে যৌন সংসর্গ করা হয়েছে। এটা ঠিক যে, ফাঁসুড়েকে ক্রমাগত ফাঁসির কাজে ব্যস্ত রাখলেই সমাজ অপরাধ মুক্ত হবে, এমনটা আগাম বলে দেওয়া যায় না। আবার এটাও সমানভাবে সত্যি যে বর্বরের মতো ধর্ষণ এবং খুন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে।  যদি যথেষ্ট শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।


সবশেষে বলি, ওই মেয়েটির উপর  যারা এধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে, তাদের এ মর্মে কড়া বার্তা দেওয়া জরুরি যে, এধরনে অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না।  মনে করি অপরাধের ক্রমবর্ধমান এই প্রবণতাকে যদি অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়া না যায় এবং শুরুতেই অপরাধকে আটকানো না যায়, তাহলে সমাজে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে এই বিষ। সমাজ হয়ে পড়বে অসহায় এবং নিষ্ক্রিয়। সে কারণে সময়ের দাবিই হল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। এই অপরাধ যদি বিরলের মধ্যে বিরলতম না হয়, তাহলে বিরলের মধ্যে বিরলতম  বলে আর কিছু হয় না।


তাই এই প্রবণতাকে রুখতে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া ছাড়া পথ নেই । কামদুনি মামলার রায়ে বলেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার।