COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: কান্দি পুরসভায় আস্থা ভোটের দু দিন আগে, অপহরণ করা হল বাম সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর দেবজ্যোতি রায়কে। আগামী শুক্রবার ভোটাভুটিতে, তিনিই কংগ্রেস ও সিপিএমের কালো ঘোড়া। তার আগে এই অপহরণকাণ্ড ঘিরে উত্তাল জেলা রাজনীতি। আগামিকাল বারো ঘণ্টার কান্দি বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। বনধ ডেকেছে বামেরাও।   কান্দি পুরসভা দখলে রাখতে কংগ্রেস-বাম দুপক্ষেরই বড় বাজি দেবজ্যোতি রায়। তাঁকেই দেখা হচ্ছে, চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই অপহৃত, বাম সমর্থিত এই নির্দল কাউন্সিলর।


কয়েকদিন আগে, কংগ্রেস পরিচালিত কান্দি পুরসভায় বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল।আঠেরো আসনের পুরসভায়, তৃণমূলের দিকে এখন ন-জন কাউন্সিলর। কংগ্রেসের দিকেও ন-জন, যার মধ্যে রয়েছেন দেবজ্যোতি রায় এবং তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা রায়। দুজনই বাম সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর।  ভোট হওয়ার কথা, উনিশে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার। তার আগেই বুধবার, মাহাদিয়া প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।     


ঘটনার পর থানার সামনে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। জড়ো হন বাম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। ছিলেন অপহৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী সান্ত্বনা রায়ও। চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। অভিযোগ, থানার ভিতরেও তাণ্ডব চালান বিক্ষোভকারীরা। কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এমনকি মঙ্গলবারই মহকুমা শাসককে এনিয়ে ডেপুটেশনও দেন দেবজ্যোতি রায়। তারপরও এধরনের ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়। পুলিসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাম এবং কংগ্রেস, দুপক্ষই। তাঁদের প্রশ্ন, নিরাপত্তার অভাব নিয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? পুলিস-প্রশাসন কেন হাত গুটিয়ে ছিল? কান্দি-দখলে লড়াই চলছে সমানে সমানে। একটি ভোটও বড় ফ্যাক্টর। সেখানে এই অপহরণকাণ্ড, তৃণমূলেরই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রমাণ। অভিযোগ কংগ্রেস এবং বামেদের।