ভাগ্নিদের খুনের কথা স্বীকার মামা রামপ্রসাদের
মহম্মদবাজারে জোড়া খুনে মায়ের পর গ্রেফতার নিহত দুই কিশোরীর মামা। মা অপর্ণা সাধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিল দুই কিশোরী। তাদের মুখ বন্ধ করতেই খুন বলে নিশ্চিত পুলিস। অর্পণার সম্পত্তির লোভেই দুই ভাগ্নিকে খুন করে রামপ্রসাদ।
ওয়েব ডেস্ক: মহম্মদবাজারে জোড়া খুনে মায়ের পর গ্রেফতার নিহত দুই কিশোরীর মামা। মা অপর্ণা সাধুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিল দুই কিশোরী। তাদের মুখ বন্ধ করতেই খুন বলে নিশ্চিত পুলিস। অর্পণার সম্পত্তির লোভেই দুই ভাগ্নিকে খুন করে রামপ্রসাদ।
সুস্মিতা এবং পুষ্পিতা। ঘরের মধ্যে গলা কেটে খুন করা হয় দুই স্কুলছাত্রীকে। কেন এই নৃশংস খুন। দুই বোনের কাকা, কাকিমা, ঠাকুমাকে জেরা করেও ধন্দ কাটেনি গোয়েন্দাদের। স্থানীয় এক তরুণের সঙ্গে বড়মেয়ে সুস্মিতার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হয়। বকাবকি করা হয় সুস্মিতা কে। যদিও খুনের মোটিভ হিসেবে এই প্রেমের সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি পুলিস।
পুলিসি তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই কিশোরীর মা অপর্ণার একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় বড়মেয়ে সুস্মিতা। এরপরই অপর্ণা এবং তাঁর পরিচিতদের জেরা করা হয়। টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় অপর্ণা সাধুকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় অপর্ণার ভাই রামপ্রসাদ সাহাকে।
মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় সুস্মিতা ও পুষ্পিতা। প্রেমের সম্পর্কে পথে কাঁটা দুর করতেই ২ মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় অপর্ণা। কাজে লাগায় ভাই রামপ্রসাদকে। রামপ্রসাদ আর্থিকভাবে দিদি অপর্ণার ওপর নির্ভরশীল। ভাগ্নিদের মৃত্যু হলে দিদির সম্পত্তির পাওয়ার পথও সাফ হয় রামপ্রসাদের।
খুনের কথা স্বীকার করেছে রামপ্রসাদ। প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, খুনের সময় বাড়িতেই ছিলেন অপর্ণাও। এই তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিস। রামপ্রসাদকে ৫দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।