ব্যুরো: একের পর এক কলেজের পর এবার কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বহিরাগতদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পদত্যাগ করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু। উপাচার্যের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের একাংশকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে বহিরাগতরা। যদিও রাজ্যপাল তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্নাতকোত্তরে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ। বুধবার দুপুর থেকে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন উপাচার্যকে।  রাতভর চলে ঘেরাও। বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করলেন উপাচার্য। জানালেন, বহিরাগতদের একাংশের মদতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। 


উপাচার্যের বক্তব্যে স্পষ্ট, দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রদের সঙ্গে বহিরাগতদের একটা চক্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করছে। যদিও পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি রাজ্যপাল। উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যকে একই আবেদন করেছেন শিক্ষামন্ত্রীও।


শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিটি ঘটনার পর এই একই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের পরিবেশের পরিবর্তন হয় না। 


প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষামন্ত্রী বারবার একই কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটে না কেন?


ছাত্র সংগঠনের নেতাদের রাশ কি আদৌ তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে আছে?


প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বাহিরাগতদের যোগ পাওয়া যাচ্ছে কেন?


বারবার রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে একই ধরনের ঘটনা কেন ঘটবে?