ওয়েব ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিলেন তমলুকের দোর্দণ্ড প্রতাপ প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ লক্ষণ শেঠ। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন অনেক দিন আগেই। পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর নিজের দলও খুলেছিলেন, তবে কোনও ভাবেই দাগ কাটতে পারেননি বঙ্গ রাজনীতিতে। উল্টে লক্ষণ শেঠের কেলেঙ্কারিকে সামনে রেখেই বঙ্গ রাজনীতিতে নাটকীয় এবং ঐতিহাসিক উথ্যান হয়েছে পশিমবঙ্গ সরকারের বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। দোর্দণ্ড প্রতাপ প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ লক্ষণ শেঠের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপিও। এবার সেই বিজেপিই নিজেদের দরজা খুলে দিল সিপিআইএমের প্রভাবশালী এই নেতার জন্য। আর ঝোপ বুঝে ঝাঁপও দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের একসময়ের দাপুটে নেতা লক্ষণ শেঠ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


বঙ্গ রাজনীতির ডামাডোলে লক্ষণ শেঠ প্রায়ই খবরের পাতার বড় বড় শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কখনও কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরেই তাঁকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব আবার কখনও নিজেই মমতা বন্দনা করে কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদীর মুখ পুড়িয়েছেন। লক্ষণ শেঠের স্ত্রী তমালিকা পাণ্ডা শেঠও জড়িয়েছিলেন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে। আর তাঁর পিছনেও ছিলেন 'মাস্টারমাইন্ড' লক্ষণ বাবুই। পূর্ব মেদিনীপুর যা এককালে সিপিআইএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেই গোটা 'লাল সাম্রাজ্য' কার্যত তৃণমূলের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন এই নেতা। যা নিয়ে সরব ছিল বিজেপি। এখন প্রশ্ন, বিজেপি এতদিন এই নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েও কেন তাঁকেই দলে টানলেন। 


 


রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে লক্ষণ শেঠকে দলে টেনে বকলেমে বিক্ষুব্ধ বামেদেরও দলে টানতে চাইছে রাজ্য বিজেপির একাংশ। এমনটাও মনে করা হচ্ছে, আসন্ন উপ নির্বাচনে তমলুক থেকে বিজেপির টিকিটে লক্ষণ শেঠকে প্রার্থী করে চমক দিতে পারে গেরুয়া শিবির। তবে এই বিষয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছুই বলছে না বিজেপি।