ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আরও একধাপ এগোল বামেরা। বেশ কয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে বাম শরিকরা। বল এখন অবশ্য সিপিএমের কোর্টে। আসন সমঝোতা করতে হলে বড় শরিক হিসেবে নিজেদের কোটা থেকে বেশি আসন ছাড়তে হবে সিপিএমকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেসকে ৮০-৮৫টি আসন ছাড়তে হবে। সম্পাদকমণ্ডলীতে আলোচনার করে বামফ্রন্টের বৈঠকে শরিকদের জানিয়ে দেয় সিপিএম। শরিকরা বেঁকে বসে। তাঁদের কোটা থেকে কটা করে আসন যাবে? এ প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দেয়। জট কাটাতে মঙ্গলবার প্রধান শরিকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠকে বসেন বিমান বসু।


নিজেদের কোটা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক ৬ টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই জলপাইগুড়ির ১টি ও পুরুলিয়ার ২টি ও মুর্শিদাবাদের আসন ছাড়তে রাজি নয় ফরওয়ার্ড ব্লক।


তবে এই জলপাইগুড়ি আসনটি কংগ্রেসের জেতা আসন, গতবার সেখান থেকে জয়ী হন কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা। সে ক্ষেত্রে কী হবে? তা নিয়ে অবশ্য সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেননি বামফ্রন্টের দুই শরিকই
 
সিপিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে কান্দি আসনটি তাঁরা কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি। এছাড়াও আরও ২টি আসন তাঁরা ছাড়তে রাজি হলেও আরও ১টি আসনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা  
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, বহরমপুর ও রেজিনগর এবং নদিয়ার কালিগঞ্জ আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে আরএসপি। তবে সিপিএমের দাবি মেনে কোনও ভাবেই ৯-১০টি আসন ছাড়তে রাজি নয় আরএসপি ।


এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন বড় শরিক সিপিএমের কোর্টেই বল। ৮৫টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে হলে তাঁদের কোটা থেকে সব থেকে বেশি আসন ছাড়তে হবে। আবার কংগ্রেসের দাবি করা বেশ কয়েকটি আসনই শরিকদের কোটার, সে ক্ষেত্রে কীভাবে সমঝোতা হবে, তা নিয়ে সংশয়ে সিপিএম। সব দিক বজায় রেখে কীভাবে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা করা যায়, এখন সে নিয়েই আলোচনা চালাচ্ছে সিপিএম ।