ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে পুর নিগম। তারপর মহকুমা পরিষদ। শিলিগুড়িতে দু-বার তৃণমূলকে হারানোর পর দার্জিলিং জেলার সমতলে বাম-কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে জোটের হাওয়া। সেই হাওয়াতেই ফের বিধানসভায় যাওয়ার আশা করছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। রাজ্য সরকার মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌছে দেওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হবে না। জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১১-এ বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাসের পর তৈরি হয় মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্র। এখানেই ১৯৬৭-র ২৫শে মে পুলিসের গুলিতে ১১ জনের মৃত্যুর পর ছড়িয়ে পড়ে নকশাল আন্দোলন। শিলিগুড়িতে দু-বার তৃণমূলকে হারানোর পর পাশেই মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বাম-কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে জোটের হাওয়া। ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে সিপিএম প্রার্থীকে ৭ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার।


২০১৪-র লোকসভা ভোটে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে সাড়ে নয় হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল ও তৃতীয় স্থানে ছিল বামেরা। বামেদের সমর্থনে এ বারও বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার। উল্টোদিকে তৃণমূলের অমর সিনহা। রাজনৈতিক মহল বলছে খাতায় কলমে বিজেপি ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী থাকলেও মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে শঙ্কর বনাম অমর দ্বিমুখী লড়াই। উন্নয়নের ইস্যুতে ভোট চাইছেন তৃণমূল প্রার্থী। অনুন্নয়নের অভিযোগে পাল্টা বিঁধছেন বিরোধীরা। চা শ্রমিকদের দুরবস্থা, রাস্তাঘাট-পানীয় জল-নিকাশির সমস্যা প্রচারে বিরোধীদের বড় ইস্যু।


ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আশাবাদী দুই প্রার্থীই। জোটের হাওয়ায় ফের বিধানসভায় যাওয়ার আশা করছেন শঙ্কর মালাকার। রাজ্য সরকার মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌছে দেওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হবে না। জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থীও। অপেক্ষা ১৯ মে-র।